জ্ঞানের গভীরে জ্ঞান -আইনুল বারী
১০৪.জ্ঞানের
গভীরে জ্ঞান
-আইনুল বারী
--------------
জ্ঞানের নানা স্তর আছে। জ্ঞানের যে স্তরে আমরা আছি, তার পরের স্তরে কীভাবে যেতে হয় আমরা এখনো জানি না, কিন্তু কেউ কেউ যান। যারা যান তারা বলে্ন,
এ হলো
সাক্ষাৎ জ্ঞান, সত্যজ্ঞান,
বোধিলাভের
জ্ঞান।
কয়েকটি বড় অভিজ্ঞতার পর এমন কিছু জ্ঞানলাভ হয় যা সাধারণ পড়াশোনা ও অভিজ্ঞতা
থেকে অর্জন করা সম্ভব হয় না। বড় অভিজ্ঞতাগুলিকে আমরা বলি মিরাকেল অভিজ্ঞতা, আবার কেউ বলে্ন NDE (Near death experience) বা কেউ
বলেন, এতো সত্যিকার ঐশ্বরিক সাক্ষ্যাৎ! কিন্তু
যাদের এমন অভিজ্ঞতা নেই আর যাদের সংশয়ী মন,
তারা ভাবেন, এ আসলে অলৌকিক কিছু নয়, এ হলো
হেলুসিনেশন বা মানসিক অস্বাভাবিকতা।
এসব অসামান্য অভিজ্ঞতা মানুষের চিন্তা-চেতনাকে বহু দূরে বা বহু গভীরে নিয়ে
যায়। অভিজ্ঞতাগুলি প্রায় পূনর্জন্ম লাভের সমান হয়। তারা কী দেখেন,কী জানেন,কী অনুভব করেন, তা তাদের কাছে একান্তে যে পূর্ণ মাত্রায়
পরিস্ফুটিত হয়, তা অন্যের
কাছে ঠিক ঠিক বর্ণনা করতে পারেন না। এই অক্ষমতাকে নেতিবাচক ভেবে নেয়া উচিত নয়। সব কিছুর
মতো জ্ঞানেরও বিধি-নিষেধ আছে। কিছু জ্ঞান আছে যা শুধু যে গ্রহণ করেছে শুধু তারই
জন্য শিক্ষনীয়, অন্যের কাছে উপস্থাপিত হলেই তার অর্থ
পালটে যেতে পারে বা যায়। হয়তো সেসবও একদিন বিজ্ঞানে প্রয়োজনীয় কৌতুহলের বিষয় হবে।
আমি বলবো আল্লাহ, পরমেশ্বর,
বিধাতা, ভগমান, গড,
মহাপ্রাণ, স্বর্গলোকের অধিশ্বর, যে নামেই
ডাকি, তা হলো তাঁর কাছাকাছি আসার জ্ঞান।
Comments
Post a Comment