ইসলাম ধর্মে একাধিক স্ত্রীর অনুমোদন কীভাবে ন্যায় সংগত বিবেচিত হতে পারে? -আইনুল বারী
৯৭.ইসলাম ধর্মে একাধিক স্ত্রীর অনুমোদন কীভাবে ন্যায় সংগত বিবেচিত হতে পারে? -আইনুল বারী ---------------
অনেকে সমালোচনা করে থাকেন, ইসলাম ধর্মে একজন পুরুষের ৪ জন স্ত্রী তথা বহু স্ত্রী রাখার বিধান কেনো থাকলো? এটা কি অন্যায় নয়? এটি কি ইসলামকে বিতর্কিত করলো না? বিষয়টি এমন নয় সুযোগ আছে বলেই একাধিক স্ত্রী রাখতে হবে। একজন স্ত্রীর বেশি স্ত্রী রাখা কিন্তু বাধ্যবাধকতা নয় ইসলামে! আজকের যুগের মানুষের কাছে বাস্তবতার নিরিখে, যুক্তিসংগত কারণে ও পারষ্পরিক সম্মতিতে বহু স্ত্রী রাখা যথার্থ মনে না হলে, সেটিই এ যুগের সাধারণ সামাজিক মূল্যায়ন ও মূল্যবোধ হিসেবে গ্রহণীয় হবে। কুর'আনে এমুন কথা নেই যে যুগের মূল্যবোধকে অস্বীকার করে হলেও বহু স্ত্রী রাখা ন্যায় সংগত কাজ হবে। মানুষকে আল্লাহ শুধু ধর্মগ্রন্থই, দিয়েছেন কান্ড জ্ঞান ও বিবেকবোধও। ইসলামে কামনা-বাসনা চরিতার্থ করার জন্য বহু বিবাহের বিধান নেই।
৪ জন স্ত্রী রাখার বিধান নবী মুহাম্মদের(তাঁর প্রতি শান্তি) যুগের বাস্তবতায় যথার্থ ছিলো। সে যুগের নৈতিকতা ও মূল্যবোধের সাথে তা সাংঘর্ষিক ছিলো না।যদিও তখনও একজন স্বামী-স্ত্রীর বিশ্বস্ত ও ন্যায়সঙ্গত দাম্পত্য সম্পর্কের মর্যাদা ইসলাম বর্ণনা করেছে। সে সময়(ইসলাম পূর্ব যুগে) অবস্থাপন্ন পুরুষরা ইচ্ছেমতো স্ত্রী রাখতে পারতো, শতাধিক স্ত্রী রাখতেও দোষ ছিলো না,পতিতাবৃত্তি চালু ছিলো।এ ছাড়া গোত্রীয় যুদ্ধ বিগ্রহে অনেক নারীই বিধবা হচ্ছিলো।অথচ (ইসলাম পূর্ব যুগে) নারীদের স্ত্রী হিসেবে যথাযথ পারিবারিক,আইনগত,সামাজিক ও অর্থনৈতিক অধিকার ও মর্যাদা ছিলো না। সমাজে বিধবারা বোঝা হয়ে ছিলো। তখন ইসলাম সমাজ সংস্কারের ভূমিকায় অবহেলিত নারীদের পর্যায়ক্রমে সব ধরণের অধিকার ফিরিয়ে দেয়। যদি এই ইতিবাচক ঐতিহাসিক প্রয়োজনীয়তাকে অস্বীকার করি তবে ইসলামের ভুল পাঠ হবে।
যিনি বহু বিবাহের সমালোচনা করছেন, এর অর্থ তিনি এই যুগের মূল্যবোধ মেনে চলেন। কাজেই তিনি একজন স্ত্রীর প্রতিই বিশ্বস্ত থাকুন, যেমন তার স্ত্রী তার প্রতি বিশ্বস্ত রয়েছেন। ইসলাম এই শিক্ষা দেয়।
Comments
Post a Comment