ইসলাম ধর্মে ৪ জন স্ত্রী বা বহু স্ত্রী্র বিধান কি অন্যায় নয়? -আইনুল বারী
৬৮. ইসলাম ধর্মে ৪ জন স্ত্রী বা বহু স্ত্রী্র বিধান কি অন্যায় নয়?
-আইনুল বারী
-- --- ----
অনেকে সমালোচনা করে থাকেন, ইসলাম ধর্মে একজন পুরুষের ৪ জন স্ত্রী বা বহু স্ত্রী রাখার বিধান কেনো
পুরুষতান্ত্রিক নিপীড়ন ও নৈতিকভাবে অন্যায় হবে না?
এটা কি অন্যায় নয়? এটি কি ইসলামকে বিতর্কিত করলো না?
বিষয়টি এমন নয় যে সুযোগ আছে বলেই একাধিক স্ত্রী রাখতে হবে।একজন স্ত্রীর বেশি স্ত্রী রাখা তো বাধ্যবাধকতা নয় ইসলামে! আজকের যুগের মানুষের কাছে যদি বাস্তবতার নিরিখে,
যুক্তিসংগত কারণে ও পারষ্পরিক সম্মতিতে বহু স্ত্রী রাখা যথার্থ মনে না হয়, তবে তাই এ যুগের সাধারণ মূল্যায়ন ও মূল্যবোধ।কুর'আন বলে না যুগের মূল্যবোধকে অস্বীকার করে বহু স্ত্রী রাখা বাধ্য-বাধ্যকতা বা ন্যায় সংগত কাজ।ইসলামে কামনা-বাসনা চরিতার্থ করার জন্য বহু বিবাহের বিধান নেই।
৪ জন স্ত্রী রাখার বিধান নবী মুহাম্মদের(তাঁর প্রতি শান্তি) যুগের বাস্তবতায় যথার্থ ছিলো।সে যুগের নৈতিকতা ও মূল্যবোধের সাথে তা সাংঘর্ষিক ছিলো না।যদিও তখনও একজন স্বামী-স্ত্রীর বিশ্বস্ত ও ন্যায়সঙ্গত দাম্পত্য সম্পর্কের মর্যাদা ইসলাম বর্ণনা করেছে। সে সময়(ইসলাম পূর্ব যুগে) অবস্থাপন্ন পুরুষরা ইচ্ছেমতো স্ত্রী রাখতে পারতো, সমাজের অভিজাত ক্ষমতাশালীদের জন্যে শতাধিক স্ত্রী রাখতেও অসামার্থ্য ও দোষ ছিলো না।তখন পতিতাবৃত্তি চালু ছিলো, যৌন দাসীর প্রচলন ছিলো,নগ্নতাকে অশালীন মনে করা হয়নি ।
তখন গোত্রীয় যুদ্ধ বিগ্রহে অনেক নারীই বিধবা হচ্ছিলেন।আর ইসলাম পূর্ব যুগের সমাজব্যবস্থায় নারীদের স্ত্রী হিসেবে যথাযথ পারিবারিক,আইনগত,সামাজিক ও অর্থনৈতিক অধিকার ও মর্যাদা ছিলো না। তাই সমাজে বিধবারা বোঝা হয়ে ছিলো তখন ইসলাম সমাজ সংস্কারের ভূমিকায় অবহেলিত নারীদের পর্যায়ক্রমে সব ধরণের অধিকার ফিরিয়ে দেয়।
যিনি বহু বিবাহের সমালোচনা করছেন, এর অর্থ তিনি এই যুগের মূল্যবোধ মেনে চলেন। কাজেই তিনি একজন স্ত্রীর প্রতিই বিশ্বস্ত থাকুন, যেমন তার স্ত্রী তার প্রতি বিশ্বস্ত রয়েছেন। ইসলাম এই শিক্ষা দেয়।
Comments
Post a Comment