আল্লাহর নিদর্শন-৩ আল্লাহর সতর্কতার নিদর্শন -আইনুল বারী
৭৫.আল্লাহর নিদর্শন-৩
আল্লাহর সতর্কতার নিদর্শন
-আইনুল
বারী
-- ---
--
আল্লাহর নিদর্শন সমূহের মধ্যে কিছু নিদর্শন রয়েছে সতর্কতার নিদর্শন। এই নিদর্শনগুলি বিশেষ অর্থ বহন করে। আমরা যাতে সৃষ্টি রহস্যকে আরও সহজভাবে বুঝতে পারি বুঝতে পারি । মানুষের সহজাত দার্শনিক উপলব্ধিবোধ দিয়েই আমরা এমন সতর্কতার নিদর্শন পর্যবেক্ষণ করে সৃষ্টির সৃষ্টিকর্তা ও মহান প্রতিপালকের অস্তিত্বকে অনুভব করতে পারি। কিন্তু যাদের সেই জ্ঞানচোখ নেই তারা হয়তো তা বুঝবেন না।
‘আর
আমি ফেরাউন-অনুসারীদের ক্রমাগত কয়েক বছরের দুর্ভিক্ষ ও ফসলহানির মধ্যে নিমজ্জিত
রাখলাম, যেনো তারা সতর্ক হয়।’-সূরাহ আ'রাফ(অধ্যায়-৭),আয়াত-১৩০
‘সেজন্যে
আমি তাদের প্রতিকূলতায় পাঠালাম জলোচ্ছ্বাস, পঙ্গপাল, উকুন, ব্যাঙ্গ, রক্ত, পরপর পরিষ্কার নিদর্শন; অথচ তারপরও তারা থাকলো উদ্ধত, এবং তার ছিলো এক অপরাধী সম্প্রদায়।’-সূরাহ আ'রাফ(অধ্যায়-৭),আয়াত-১৩৩
‘আর
তাদেরকে যতোটুকু প্রতিষ্ঠিত করেছিলাম, তোমাদেরকে
তা করিনি। আমি তাদেরকে কান, চোখ
ও অন্তর(সব কিছুই)প্রদান করেছিলাম, কিনতু
তাদের এ কান, চোখ ও আন্তর আল্লাহর
আয়াতসমূহ স্বীকার না করার কারণে তা তাদের কোনো কাজে লাগাতে পারে নি। যে বিষয় নিয়ে
তারা বিদ্রূপ করতো সে বিষয় এসে তাদেরকেই বেষ্টন করলো ।'
‘আর
নিশ্চয় আমিতো ধ্বংস করেছিলাম তোমাদের আশেপাশের শহরগুলি/বস্তিসমূহ। আর আমি বিভিন্ন
ভাবে তাদের নিদর্শন দেখিয়েছি। যেনো তারা ফিরে আসে।‘-সুরাহ
আহক্বা-ফ, অধ্যায়-৪৬,আয়াত-২৬-২৭
'আর
আমি এমন সব জনপদ/জাতি তাদের গুরতর অন্যায়ের জন্য ধ্বংস করেছি, আর তাদের ধ্বংসের নির্দিষ্ট কাল
নির্ধারণ করেছি। '- সুরাহ
কাফ, আয়াত-৫৯
‘আর
নিশ্চয় আমি আপনার পূর্বের সম্প্রদায়(জাতিগোষ্ঠী)গুলির কাছেও প্রেরণ করেছিলাম। আর
তাদেরকে ধরেছিলাম দু:খ-কষ্ট, বিপদ
আপদ দ্বারা, যেনো তারা নিজেদের মধ্যে
দীনতায়-বিন¤্রতায় বেড়ে ওঠে।’- সূরাহ আন'আম(অধ্যায়-৬),আয়াত-৪২
‘যখন
তাদের কাছে আমার দু:খ-দুর্দশা-বিপর্যয়(শাস্তি ) পৌঁছুলো তখন কোনো তারা বিন¤্র হলো না? বরং তাদের হৃদয় কঠোর হয়ে গেল,আর শয়তান তাদের কাছে সুশোভিত করে
দেখালো যা তারা করতো।’- সূরাহ
আন'আম(অধ্যায়-৬),আয়াত-৪৩
‘তারপর
তারা যখন ঐ সতর্ককতা ভুলে গেল যা পেয়েছিলো,তখন
আমি তাদের জন্য (উপভোগের)সব কিছুর দ্বার উন্মুক্ত করলাম, তারা আমার প্রদত্ত দ্রবাদির উপভোগের
মাঝে মগ্ন রইলো, আর তখন আমি অকস্মাৎ তাদেরকে
ধরলাম। আর তারা কতো দুর্দশায় নিপতিত হলো!
-সূরাহ আন'আম(অধ্যায়-৬),আয়াত-৪৪
‘আর
আমি তাদেরকে দূর্ভোগের মাঝে নিমজ্জিত করেছিলাম, তবুও
তারা তাদের পালনকর্তার সামনে নত হয়নি, কাতর
প্রার্থণাও করেনি।'-সূরাহ
আল-মুমিনুন(অধ্যায়-২৩),আয়াত-৭৬
‘অবশেষে
যখন আমি তাদের জন্য কঠোর শাস্তির দরোজা খুলে দেবো, তখন
তারা সেখানে নিমজ্জিত হবে গভীর নিরাশায়!’ -সূরাহ
আল-মুমিনুন(অধ্যায়-২৩),আয়াত-৭৭
Comments
Post a Comment