ঈশ্বর সম্পর্কে আমাদের চিন্তার সীমাবদ্ধতা-২ -আইনুল
৩১.ঈশ্বর সম্পর্কে আমাদের
চিন্তার সীমাবদ্ধতা-২
-আইনুল বারী
-- --- ----
জীবন, মৃত্যু, বাস্তবতা ও ঐশ্বরিকতা নিয়ে আমার নিজস্ব কিছু ধ্যান-ধারণা আছে।নিজস্ব অনুধ্যানমূলক চিন্তা অনুসৃত ।
কোনটি সত্য বা মৌলিক বাস্তবতা এ নিয়ে যুক্তি-তর্কের শেষ নেই। বস্তুবাদীরা মনে করেন, বস্তুই চুড়ান্ত সত্য, ভাববাদীরা বলেন চেতনা। এই দ্বৈতবাদের সমন্বয়ের চেষ্টাও হয়েছে। আমি তিন ধরণের বাস্তবতার ধারণা দিয়ে এর সমাধানের চেষ্টা করেছি, যেখানে কোনটি মৌলিক বাস্তবতা বা সত্য সে প্রশ্ন জরুরি নয়, বরং তিন বাস্তবতাই সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
এখন আসা যাক সেগুলি কী সে ব্যাপারে। তিনটি বাস্তবতাকে(reality) এক বাস্তবতার তিন ধরণের প্রকাশও বলতে পারেন।সেগুলি হলোঃ -
১। বস্তুগত বাস্তবতা(objective or
material reality): এই বাস্তবতায় বিশ্ব জগত কণা-তরংগে আর যান্ত্রিক শক্তিতে পরিপূর্ণ। এখানে অন্য কিছু নেই। যে কোনো বিশ্লেষণ করে এখানেই পৌঁছুই।
২। প্রতিভাসিত বাস্তবতা(phenomenological
reality): এই বাস্তবতায় আমরা বেশির ভাগ সময় বিচরণ করি। এই প্রতিভাসিত বাস্তবতায় মানুষ, মানুষের সমাজ, রাষ্ট্র, আবিষ্কার, গবেষণা ইত্যাদি রয়েছে। এখানে মানুষের সামগ্রিক নৈতিক জীবন আছে। নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে স্বাধীন ইচ্ছা ও ভালো-মন্দ থেকে বেছে নেয়ার নৈতিকতাবোধ আছে। প্রতিভাসিত বাস্তবতায় আমি ও আপনি এই আলোচনা করছি।
৩। আমি(আত্ম-সচেতনতার)-বাস্তবতা
(subjective/conscious or me/self-conscious reality): এটি টাবু বাস্তবতা।অনেকটা Solipsism ঘরণার। তবে আমি সলিপসিজম সমর্থন করি না। আমি-বাস্তবতাই একমাত্র স্বতঃসিদ্ধ, যেখান থেকে অন্য সকল যুক্তির সূত্রপাত।মানব জ্ঞানের পরিমন্ডলে এর চেয়ে নিশ্চিত সত্য কিছু নেই।
এই অবস্থান থেকেই God, ঈশ্বর বা আল্লাহকে গভীরভাবে অনুভব করা যায়। তার অস্তিত্বের প্রয়োজনীয়তা স্বতঃসিদ্ধভাবে সত্যের মতোই উপলব্ধি করা যায়। ( শুধু কার্টেসীয় অর্থে আমি বুঝাচ্ছি না।)
আশা করি জটিল করে ফেলিনি।
Comments
Post a Comment