কুর'আনে ভিক্ষাবৃত্তির অনুমোদন আছে? -আইনুল
৪৮.কুর'আনে ভিক্ষাবৃত্তির অনুমোদন আছে?
-আইনুল বারী
না, ইসলাম পেশা হিসেবে ভিক্ষাবৃত্তির অনুমোদন দেয় না। জাকাতের মাধ্যমে, দাতব্যের মাধ্যমে দুস্থ,অসহায় মানুষকে সাহায্যের বিধান আছে, কিন্তু সাহায্যপ্রার্থী মানুষের মহানুভবতাকে পুঁজি করে ভিক্ষাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করবে তেমন সুযোগ কিন্তু নেই। আমরা যদি কুর'আনের আলোকে বিচার করি, এটি সুস্পষ্ট হবে। নিচের আয়াতটি লক্ষ্য করি,
'আর নিকট আত্মীয়কে তার প্রাপ্য (হক) দাও, আর অভাবগ্রস্ত ও পথচারীকেও, আর কিছুতেই অপব্যয় করো না।' -সুরাহ আল-ইসরা (রাতের ভ্রমণ) অধ্যায় ১৭, আয়াত-২৬
এখানে হঠাৎ উপস্থিত কোনো পথচারীকেও কিছু দান করার নির্দেশ আল্লাহ দিয়েছেন। এখন, হয়তো ভিক্ষাবৃত্তির পক্ষে এই আয়াতটি কেউ যুক্তি হিসেবে দাঁড় করাতেও পারেন। সে ক্ষেত্রে একটি উদার মানবতাবাদী আয়াতের শিক্ষাকে কীভাবে অপব্যবহারের মাধ্যমে কতো অমানবিক প্রথায়, প্রতারণামূলক আচরণের অজুহাতে পরিণত করা হচ্ছে, তাই না?
ভিক্ষাবৃত্তি হলো সবচেয়ে খারাপ ধরনের এমন এক পেশা যা মানুষকে নিদারণ এক নিচুতায় নামিয়ে আনে। কেননা তা মানুষের অত্যন্ত মূল্যবান সম্পদ আত্ম-সম্মানবোধকেই নষ্ট করে দেয়। তাকে এমনভাবে অন্যের মুখাপেক্ষী করে তোলে যে তার পক্ষে জীবন সংগ্রামে আত্মনির্ভরশীল মানুষ হিসেবে উঠে দাঁড়ানো সম্ভব হয় না। ভিক্ষাবৃত্তিতে নিযুক্ত মানুষ তার পরিবারসহ চরম মানসিক ক্ষতির শিকার হয়ে সমাজের অন্ধকূপে নিপতিত হয়। কাজেই ইসলাম মানবতার ধর্ম হলে কীভাবে ভিক্ষাবৃত্তির অনুমোদন দিবে? দেয় না।
মানবতার শপথ হলো, মানুষ মানুষের দিকে মানবতার হাত বাড়িয়ে দিবে, এমনকি সে যদি অচেনা পথচারীও হয়।
কিন্তু ভিক্ষা ? ছিঃছিঃ
(পুরোনো লেখা।)
'আর নিকট আত্মীয়কে তার প্রাপ্য (হক) দাও, আর অভাবগ্রস্ত ও পথচারীকেও, আর কিছুতেই অপব্যয় করো না।' -সুরাহ আল-ইসরা (রাতের ভ্রমণ) অধ্যায় ১৭, আয়াত-২৬
এখানে হঠাৎ উপস্থিত কোনো পথচারীকেও কিছু দান করার নির্দেশ আল্লাহ দিয়েছেন। এখন, হয়তো ভিক্ষাবৃত্তির পক্ষে এই আয়াতটি কেউ যুক্তি হিসেবে দাঁড় করাতেও পারেন। সে ক্ষেত্রে একটি উদার মানবতাবাদী আয়াতের শিক্ষাকে কীভাবে অপব্যবহারের মাধ্যমে কতো অমানবিক প্রথায়, প্রতারণামূলক আচরণের অজুহাতে পরিণত করা হচ্ছে, তাই না?
ভিক্ষাবৃত্তি হলো সবচেয়ে খারাপ ধরনের এমন এক পেশা যা মানুষকে নিদারণ এক নিচুতায় নামিয়ে আনে। কেননা তা মানুষের অত্যন্ত মূল্যবান সম্পদ আত্ম-সম্মানবোধকেই নষ্ট করে দেয়। তাকে এমনভাবে অন্যের মুখাপেক্ষী করে তোলে যে তার পক্ষে জীবন সংগ্রামে আত্মনির্ভরশীল মানুষ হিসেবে উঠে দাঁড়ানো সম্ভব হয় না। ভিক্ষাবৃত্তিতে নিযুক্ত মানুষ তার পরিবারসহ চরম মানসিক ক্ষতির শিকার হয়ে সমাজের অন্ধকূপে নিপতিত হয়। কাজেই ইসলাম মানবতার ধর্ম হলে কীভাবে ভিক্ষাবৃত্তির অনুমোদন দিবে? দেয় না।
মানবতার শপথ হলো, মানুষ মানুষের দিকে মানবতার হাত বাড়িয়ে দিবে, এমনকি সে যদি অচেনা পথচারীও হয়।
কিন্তু ভিক্ষা ? ছিঃছিঃ
(পুরোনো লেখা।)
Comments
Post a Comment