'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' -কেনো বলি? এর অর্থ কী? - আইনুল
১৪. 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' -কেনো বলি? এর অর্থ কী?
- আইনুল বারী
-- ----- -----
'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' -কেনো বলি? এর অর্থ কী? -------
প্রচলিত অনুবাদ হচ্ছে, আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নাই। কিন্তু এটি কি সঠিক অর্থ বোঝায়? আমার জ্ঞানে, এ অর্থ যথাযথ নয়। অনুবাদ হওয়া উচিত, 'নেই কোনো ইলাহ এই নির্দিষ্ট (কুর'আনে বর্ণিত) ইলাহ ছাড়া। 'আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নাই' বললে একই কথার দ্বিরুক্তি হয়, যেখানে মাবুদ ও আল্লাহ এক অর্থ বোঝায়, এবং এখানে যে বিভ্রান্তি লুকিয়ে তা হলো 'আল্লাহ'-কে নামবাচক অর্থে (proper noun) বোঝার প্রবণতা। কিন্তু আল্লাহতো নামবাচক শব্দ নয়, শব্দটি এসেছে 'ইলাহ' থেকে (‘ইলাহ’ কথাটি সেমেটিক ‘মূল’ থেকে এসেছে)। 'ইলাহ' বলতে সাধারণভাবে প্রভু, প্রতিপা্লক ও সৃষ্টিকর্তাকে বোঝায়।
আল, ইলাহ মিলে হয়েছে আল্লাহ। যার অর্থ 'The Ilah(God)'। নবী মোহাম্মাদের(তাঁর প্রতি শান্তি) কাছে নাযিলকৃত প্রত্যাদেশে যে ইলাহ-এর কথা বলা হচ্ছে তিনি সেই ইলাহ, সেজন্য নির্দিষ্ট করে দিতে 'আল' যোগ হয়েছে ইলাহ-এর আগে এবং হয়েছে 'আল্লাহ'! সেদিনের প্যাগান আরব সমাজে 'ইলাহ' শব্দের প্রচলিত অর্থও ছিলো প্রতিপালক, সৃষ্টিকর্তা। কিন্তু সেদিনের 'প্যাগান ইলাহ' বহুশ্বরবাদী নানা কল্প-সংস্কারের বেড়াজালে একত্ববাদের মর্মার্থ থেকে অনেক দূরে সরে গিয়েছিলো। তারা এক ইলাহ-এর নৈকট্যলাভের জন্য তাঁর কয়েকজন কন্যা সাবস্ত করতো, পাশাপাশি বহু দেবদেবীর আরাধোনাও চলতো, অর্থাৎ এক ইলাহের সাথে শিরক (অংশীদারিত্ব) করতো।
এ হলো একটি দিক। আরেকটি দিক হলো, অবিশ্বাসী বিপথগামী মানুষরা স্বৈরাচারী প্রচন্ড ক্ষমতাধর শাসকদেরকেও ইলাহ(প্রতিপালক) বানিয়ে ফেলে। তাদেরকে পূজোনীয় মনে করে তাদের এবাদতে মশগুল থাকে (মানে ধর্মীয় আদেশ মানার মতো তাদের যে কোনো আদেশ-নির্দেশও মেনে চলে)। আবার কখনো প্রবৃত্তির বশ্যতা মেনে মানুষ যেনো প্রবৃত্তিকেই ইলাহ বানায়, প্রবৃত্তির দাস হয়ে পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত হয়। সে কথা কুর'আনে আছে।
তাই এমন সব বিভ্রান্তি দূর করতে কুর'আনের বাণী অবতীর্ণ হলো পথভ্রষ্টদেরকে শেখাতে যে এই(কুর'আনে বর্ণিত) ইলাহ ছাড়া মানুষের ও বিশ্ব ব্রক্ষান্ডের আর কোনো 'ইলাহ' নেই। নেই প্যাগানদের ভ্রান্ত বিশ্বাসের ইলাহ, নেই খৃষ্টীয় ত্রয়ী ইলাহ, নেই কোনো ক্ষমতাধর মানুষ ইলাহ, নেই মানুষের প্রবৃত্তি-ইলাহ। বিশ্বমন্ডলে ও মানুষের জন্য পরাশক্তি, প্রভু, পতিপালক, কর্মকান্ডের শেষ বিচারক শুধু তিনি- যিনি এক, একক ও অমুখাপেক্ষী। তিনি এই ইলাহ, আল-ইলাহ, আল্লাহ।
প্রচলিত অনুবাদ হচ্ছে, আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নাই। কিন্তু এটি কি সঠিক অর্থ বোঝায়? আমার জ্ঞানে, এ অর্থ যথাযথ নয়। অনুবাদ হওয়া উচিত, 'নেই কোনো ইলাহ এই নির্দিষ্ট (কুর'আনে বর্ণিত) ইলাহ ছাড়া। 'আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নাই' বললে একই কথার দ্বিরুক্তি হয়, যেখানে মাবুদ ও আল্লাহ এক অর্থ বোঝায়, এবং এখানে যে বিভ্রান্তি লুকিয়ে তা হলো 'আল্লাহ'-কে নামবাচক অর্থে (proper noun) বোঝার প্রবণতা। কিন্তু আল্লাহতো নামবাচক শব্দ নয়, শব্দটি এসেছে 'ইলাহ' থেকে (‘ইলাহ’ কথাটি সেমেটিক ‘মূল’ থেকে এসেছে)। 'ইলাহ' বলতে সাধারণভাবে প্রভু, প্রতিপা্লক ও সৃষ্টিকর্তাকে বোঝায়।
আল, ইলাহ মিলে হয়েছে আল্লাহ। যার অর্থ 'The Ilah(God)'। নবী মোহাম্মাদের(তাঁর প্রতি শান্তি) কাছে নাযিলকৃত প্রত্যাদেশে যে ইলাহ-এর কথা বলা হচ্ছে তিনি সেই ইলাহ, সেজন্য নির্দিষ্ট করে দিতে 'আল' যোগ হয়েছে ইলাহ-এর আগে এবং হয়েছে 'আল্লাহ'! সেদিনের প্যাগান আরব সমাজে 'ইলাহ' শব্দের প্রচলিত অর্থও ছিলো প্রতিপালক, সৃষ্টিকর্তা। কিন্তু সেদিনের 'প্যাগান ইলাহ' বহুশ্বরবাদী নানা কল্প-সংস্কারের বেড়াজালে একত্ববাদের মর্মার্থ থেকে অনেক দূরে সরে গিয়েছিলো। তারা এক ইলাহ-এর নৈকট্যলাভের জন্য তাঁর কয়েকজন কন্যা সাবস্ত করতো, পাশাপাশি বহু দেবদেবীর আরাধোনাও চলতো, অর্থাৎ এক ইলাহের সাথে শিরক (অংশীদারিত্ব) করতো।
এ হলো একটি দিক। আরেকটি দিক হলো, অবিশ্বাসী বিপথগামী মানুষরা স্বৈরাচারী প্রচন্ড ক্ষমতাধর শাসকদেরকেও ইলাহ(প্রতিপালক) বানিয়ে ফেলে। তাদেরকে পূজোনীয় মনে করে তাদের এবাদতে মশগুল থাকে (মানে ধর্মীয় আদেশ মানার মতো তাদের যে কোনো আদেশ-নির্দেশও মেনে চলে)। আবার কখনো প্রবৃত্তির বশ্যতা মেনে মানুষ যেনো প্রবৃত্তিকেই ইলাহ বানায়, প্রবৃত্তির দাস হয়ে পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত হয়। সে কথা কুর'আনে আছে।
তাই এমন সব বিভ্রান্তি দূর করতে কুর'আনের বাণী অবতীর্ণ হলো পথভ্রষ্টদেরকে শেখাতে যে এই(কুর'আনে বর্ণিত) ইলাহ ছাড়া মানুষের ও বিশ্ব ব্রক্ষান্ডের আর কোনো 'ইলাহ' নেই। নেই প্যাগানদের ভ্রান্ত বিশ্বাসের ইলাহ, নেই খৃষ্টীয় ত্রয়ী ইলাহ, নেই কোনো ক্ষমতাধর মানুষ ইলাহ, নেই মানুষের প্রবৃত্তি-ইলাহ। বিশ্বমন্ডলে ও মানুষের জন্য পরাশক্তি, প্রভু, পতিপালক, কর্মকান্ডের শেষ বিচারক শুধু তিনি- যিনি এক, একক ও অমুখাপেক্ষী। তিনি এই ইলাহ, আল-ইলাহ, আল্লাহ।
Comments
Post a Comment