শান্তি ও সম্প্রীতি বিষয়ে কুর’আনের কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ আয়াত -আইনুল
১৬.শান্তি ও সম্প্রীতি বিষয়ে কুর’আনের কিছু আয়াত
-আইনুল বারী
শান্তি ও সম্প্রীতি বিষয়ে কুর’আনের কিছু আয়াত---
শান্তি ও সম্প্রীতি বিষয়ে কুর’আনে বেশ কিছু গুরুত্বপুর্ণ আয়াত রয়েছে। সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এই আয়াতগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অথচ আয়াতগুলি অনেকের চোখ এড়িয়ে যায় কিনা জানিনা, কিন্তু সেসবের প্রচার ও আলোচনা যৎ সামান্যই। আমি কিছু বাছাই করে এখানে তুলে ধরলামঃ
‘হে বিশ্বাসীরা! আল্লাহর স্বাক্ষীরূপে ন্যায় বিচারে দৃঢ় থাকো, যদিও তা তোমাদের নিজেদের বিরুদ্ধে যায় অথবা মাতা-পিতা ও আত্মীয়-স্বজনদের বিরুদ্ধেও। যদিবা সে ধনী বা গরীব হয়, আল্লাহ উভয়ের প্রতিই দয়ালু। সুতরাং ব্যক্তিগত কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ করো না পাছে তোমারা ন্যায় বিচার থেকে বিচ্যূত হয়ে পড়ো। আর যদি তোমরা তা করো বা এড়িয়ে যাও, তবে নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের কৃতকর্মের খবর রাখেন।’ -সুরাহ নিসা আয়াত-১৩৫
‘ওহে বিশ্বাসীগণ! আল্লাহর জন্য অবিচল থেকো ন্যায় সাক্ষী রূপে,আর অন্যের(কোনো সম্প্রদায়ের) ঘৃণার কারণে নিজেকে ন্যায়বিচার থেকে বিরত রেখো না।সুবিচার করোঃএটাই আল্লাহ সচেতনতার (তাকওয়া)অধিক নিকটবর্তী, আল্লাহ সচেতন হও(ধার্মিক হও)।তোমরা যা করো নিশ্চয় আল্লাহ সে সম্পর্কে জানেন।’- সূরাহ মা'ইদা(অধ্যায়-৫),আয়াত-৮
'যদি তুমি আমাকে হত্যা করতে আমার দিকে হাত বাড়াও, তবুও আমি তোমাকে হত্যা করতে তোমার দিকে আমার হাত বাড়াবো না। কেননা, আমি বিশ্বজগতের পালনকর্তা আল্লাহকে ভয় করি।'-সুরাহ আল-মাইদাহ, অধ্যায়-৫, আয়াত-২৮
‘এ জন্য আমি বনী ইসরাঈলের প্রতি এ নির্দেশ দিলাম যে,নরহত্যা বা ধ্বংসাত্মক কাজ ছাড়া কেউ কাউকে হত্যা করলে সে যেনো হত্যা করলো দুনিয়ার সকল মানুষকে, আর যে কেউ কারো জীবন রক্ষা করলো সে যেনো সকলের জীবনরক্ষা করলো, তাদের কাছে তো রাসুলরা নিদর্শনসহ আগমন করেছিলেন, কিনতু এরপরও অনেকেই দুনিয়ায় সীমা লংঘন করে।’-সুরাহ মা-য়িদাহ /আয়াত-৩২
'...ঐ প্রাণ কেড়ে নিয়ো না যা আল্লাহ পবিত্র করেছেন,আইন ও বিচারের পথ ছাড়া । এ ভাবেই তিনি তোমাদের নির্দেশ করেন, যেনো তোমরা প্রজ্ঞা লাভ করতে পারো।' -সুরাহ আন'আম, ৬ঃ১৫১
‘আর যখন তাদেরকে বলা হয়ঃ পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি(অন্যায়) করো না, তারা বলেঃ আমরাতো কেবল শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী (অবস্থার উন্নতির জন্য সংস্কার সাধন করছি)। মনে রেখো, বাস্তবিকই তারাই বিপর্যয়সৃষ্টিকারী(অন্যায়কারী),কিন্তু তারা উপলব্ধি করে না।’
সূরাহ বাক্বারাহ(অধ্যায়-২),আয়াত-১১,১২
'(আর)তোমরা ভালো কাজ থেকে, বা আল্লাহ'র সচেতনতায় ন্যায় কাজ থেকে, অথবা মানুষে-মানুষে শান্তি স্থাপনের কাজ থেকে বিরত থাকতে নিজেদের শপথে আল্লাহ'র নাম-কে অজুহাত হিসেবে নিবে না; আল্লাহ সব শোনেন, জানেন।'
- সূরাহ বাক্বারাহ(অধ্যায়-২),আয়াত-২২৪
'যারা পবিত্র মসজিদ থেকে তোমাদেরকে বাধা প্রদান করেছিলো, সেই সম্প্রদায়ের ঘৃণা-আক্রোশ যেন তোমাদেরকে সীমালঙ্ঘনে প্ররোচিত না করে; সৎকর্ম ও ধার্মিকতায় একে অন্যকে সাহায্য করো, পাপাচার ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যেকে সাহায্য করো না; আল্লাহকে ভয় করো (আল্লাহ সচেতন হও)। আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা' -সূরাহ মাইদাহ (অধ্যায়-৫)আয়াত-২(২৭-৫২)
‘ধর্মের কারণে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিষ্কার করেনি, তাদের প্রতি সদয় হতে ও ন্যায়সঙ্গত আচরণ করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না। নিশ্চয় আল্লাহ ন্যায়সঙ্গত আচরণকারীদেরকে ভালবাসেন।’
-সূরাহ আল-মুমতাহানাহ,অধ্যায়-৬০,আয়াত-৮
‘আল্লাহ তোমাদেরকে (বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়তে) নিষেধ করেন, কেবল যারা ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিষ্কার করেছে এবং বহিষ্কার কাজে সহযোগিতার জোট বেঁধেছে। আর যারা তাদের সাথে সহযোগিতার জোট বাঁধে, তারা অন্যায়কারী।’-সূরাহ আল-মুমতাহানাহ,অধ্যায়-৬০,আয়াত-৯
'আর যে নির্যাতিত হওয়ার পরে অন্যায়-জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়(প্রতিরোধ গড়ে তোলে)তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই।’
'অভিযোগতো তাদের বিরুদ্ধে যারা মনুষের উপর অত্যাচার-নির্যাতন চালায় ও অন্যায়ভাবে বিদ্রোহ করে বেড়ায়। তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।’-সুরাহ আশ-শুরা(অধ্যায়-৪২),আয়াত-৪১-৪২
‘আর যখন আমি তোমাদের কাছ থেকে অংগীকার নিয়েছিলাম যে, তোমরা নিজেদের মধ্যে রক্তপাত করো না, আর তোমাদের বাসভূমি থেকে নিজেদের লোকদেরকে বের করে দিয়ো না; তখন তোমরা তা স্বীকার করেছিলে এবং তোমরা তার সাক্ষ্য দিয়েছিলে।’
-সূরাহ বাক্বারাহ, অধ্যায়-২, আয়াত-৮৪
'তারপর তোমরাই একে অন্যকে হত্যা করছো, এবং তোমাদেরই একদলকে তাদের দেশ থেকে বহিষ্কার করছো, তাদের বিরুদ্ধে পাপ ও অন্যায়ের মাধ্যমে পরষ্পর সহযোগিতা করছো। আর তারা কেউ যদি তোমাদের কাছে যুদ্ধবন্দী হয়ে আসে, তবে মুক্তিপণ/বিনিময় নিয়ে বন্দীমুক্তি দিচ্ছো হয়ে, অথচ তাদের বহিষ্কার করাই তোমাদের জন্য ছিলো নিষিদ্ধ (অবৈধ)। তবে কি তোমরা গ্রন্থের কিছু অংশ বিশ্বাস করো, আর কিছু অংশ অবিশ্বাস করো? তোমাদের মধ্যে যারা এরূপ করে তাদের জন্য পার্থিব জীবনে দুর্ভোগ ছাড়া আর কী ক্ষতিপূরণ আছে; আর পূনরুত্থানের দিনে তাদের জন্য আছে ভয়াবহ পরিণতি। আর তোমরা যা করো সে বিষয়ে আল্লাহ অজ্ঞাত নন।'
-সূরাহ বাক্বারাহ, অধ্যায়-২ আয়াত-৮৫
'আল্লাহ তাদের অন্তরের সবকিছু পুরোপুরি জানেন; তাই তাদেরকে এড়িয়ে চলুন। এবং তাদের সদুপদেশ দিন ও হৃদয়গ্রাহী কথা বলুন। আমি রাসুল এ কারণেই পাঠিয়েছি, যেন আল্লাহর আদেশে তাঁর আনুগত্য করে, তারা নিজেদের প্রতি জুলুম করার পর যদি আপনার কাছে এসে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতো এবং রাসুলও ক্ষমা চাইতেন, তবে তারা আল্লাহকে ক্ষমাশীল, দয়ালু পেতো।'
-সূরাহ নিসা(অধ্যায়-৪), আয়াত-৬৩
'আদ জাতির ব্যাপারতো এমন যে, তারা পৃথিবীর বুকে অযথা দম্ভ করতো আর বলতো 'আমাদের চেয়ে শক্তিধর আর কে আছে?' তারা কি দেখে না, তাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তাদের চেয়ে কতো শক্তিময়? অথচ তারা আমার নিদর্শনসমূহ অস্বীকার করে।'
'সে জন্য আমি তাদের উপর পাঠালাম করলাম প্রচন্ড ঝঞ্বাবায়ু, পার্থিব জীবনে তাদেরকে অপমানকর শাস্তির আস্বাদন করানোর জন্য। আর পরকালের শাস্তিতো আরো লাঞ্ছনাকর, সেখানে তারা কোনো সাহায্যকারী পাবে না।'-সুরাহ হা-মী--ম সাজ্বদাহ, আয়াত-১৫,১৬
'ও আমার জাতি ! ন্যায় নিষ্ঠার সাথে ঠিক মতো পরিমাপ করো ও ওজন দাও, এবং (প্রতারণামূলকভাবে) লোকজনের জিনিসপত্রের কোনোরূপ ক্ষতি করো না, পৃথিবীতে/দেশে অনিষ্ট/নাশকতা করো না,দূর্নীতি করো না।'-সুরাহ হুদ,১১ঃ৮৫
'সুতরাং আপনি (আল্লাহর পথে মানুষকে) দাওয়াত দিতে থাকুন, আর আল্লাহর নির্দেশিত পথে অবিচল থাকুন; আপনি তাদের খেয়ালখুশীর অনুসরণ করবেন না। বলুন, 'আল্লাহ গ্রন্থে যা প্রত্যাদেশ করেছেন তাতে আমি বিশ্বাস করি, আর আমি তোমাদের মধ্যে ন্যায় বিচার করতে আদিষ্ট হয়েছি । আল্লাহ আমাদের পালনকর্তা ও তোমাদের পালনকর্তা। আমাদের জন্যে আমাদের কর্ম এবং তোমাদের জন্যে তোমাদের কর্ম। আমাদের মধ্যে ও তোমাদের মাঝে কোনো বিবাদ নেই। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সমবেত করবেন আর তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তন।'-সূরাহ আশ-শুরা(অধ্যায়-৪২),আয়াত-১৫
‘কিন্তু যদি তারা আপনার কথায় সাড়া না দেয়,তবে জানবেন,তারা শুধু তাদের কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ করে। আর যে আল্লাহর পথনির্দেশনা(হেদায়েত) ছেড়ে কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ করে তার চেয়ে অধিক পথভ্রষ্ট আর কে? নিশ্চয় আল্লাহ নীতিহীন(অন্যায়কারী,পথভ্রষ্ট) জাতিকে/ সম্প্রদায়কে/লোকদের পথ দেখান না।’-সূরাহ কাসাস(কাহিনীসমূহ)(অধ্যায়-২৮),আয়াত-৫০
‘আর যখন তারা অসার(বাজে) কথাবার্তা শোনে তখন তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় ও বলেঃ আমাদের জন্য আমাদের কর্ম এবং তোমাদের জন্য তোমাদের কর্ম। তোমাদের প্রতি শান্তি; অজ্ঞদের অনুসরণ করতে চাই না।’-সূরাহ কাসাস(কাহিনীসমূহ)(অধ্যায়-২৮),আয়াত-৫৫
'যারা আল্লাহর বিধান মেনে নেয়ার পর (বা তার অংগীকার করার পর) সেই দৃঢ় চুক্তি/প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে এবং আল্লাহ যা অবিচ্ছিন্ন রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন তা ছিন্ন করে,আর পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করেঃ তারাই ব্যর্থ।'-সূরাহ বাক্বারাহ,অধ্যায়-২, আয়াত-২৭
'আর আপনার প্রতিপালক যখন ফেরশতাদের বললেনঃ বাস্তবিকই আমি পৃথিবীতে এক প্রতিনিধি/ভাইসরয় (শযধষīভধঃধহ) প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছি,তারা বললোঃ আপনি কি এখানে এমন কাউকে প্রতিষ্ঠা করবেন যে দূর্নীতি-অন্যায় ছড়িয়ে বেড়াবে,আর রক্তপাত ঘটাবে? যখন আমরা আপনার প্রশংসারত ও আপনার পবিত্র সত্তাকে স্মরণ করছি? তিনি বলেলেনঃ নিশ্চয় আমি যা জানি তা তোমরা জানো না।' -সূরাহ বাক্বারাহ, অধ্যায়-২, আয়াত-৩০
‘আর ফিরে গিয়ে, জমিনে তার চেষ্টা থাকে অনিষ্ট সাধন করা, শস্যক্ষেত ও জীবজন্তু ধ্বংস করা; আর আল্লাহ অন্যায় পছন্দ করেন না।’ -সূরাহ বাক্বারাহ, অধ্যায়-২, আয়াত-২০৫
‘দুনিয়া ও পরকাল সম্পর্কে; আর তারা অনাথদের ব্যাপারে আপনাকে জিজ্ঞেস করে,বলুনঃ তাদের পুর্নবাসনই শ্রেয়তর, আর যদি তাদেরকে তোমাদের সাথে নাও তবে তারা তোমাদেরই ভাই; আল্লাহ জানেন কে অনিষ্টকারী, কে সংস্কারকামী(কল্যাণকারী); আর যদি আল্লাহ ইচ্ছা করতেন নিশ্চয় তিনি তোমাদেরকে বিপদের মধ্যে ফেলতে পারতেন; আল্লাহ পরাক্রমশালী,প্রজ্ঞাময়।’
-সূরাহ বাক্বারাহ, অধ্যায়-২, আয়াত-২২০
'তোমরা তাদেরকে অপমান করো না আল্লাহ ছাড়া যাদেরকে তারা ডাকে, নয়তো অজ্ঞতাবশত সীমা অতিক্রম করে তারাও আল্লাহকে অপমান করবে। এভাব আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের কাছে নিজেদের কর্মকান্ডকে সুশোভিত করে দিয়েছি। তারপর তাদের প্রতিপালকের কাছে তাদের প্রত্যাবর্তন। আর তখন তিনি বলে দেবেন তারা যা করতো।'-সূরাহ আন’আম(অধ্যায়-৫),আয়াত-১০৮
‘বিশ্বাসীগণ! যদি কোনো নীতিহীন(মন্দ)ব্যক্তি তোমাদের কাছে কোনো সংবাদ নিয়ে আসে, তখন তোমরা পরীক্ষা করে দেখবে, যাতে অজ্ঞতাবশত তোমরা কোনো সম্প্রদায়ের ক্ষতি করতে প্রবৃত্ত না হও, আর পরে নিজেদের কৃতকর্মের জন্যে না অনুতপ্ত হও।'
-সূরাহ হুযুরাত(অধ্যায়-৪৯),আয়াত-৬
'যারা অন্যায়ভাবে বহিষ্কৃত হয়েছে বসত-বাড়ি থেকে শুধু এ কারণে যে তারা শুধু বলতো, আমাদের স্রষ্টা হলেন আল্লাহ; আর যদি আল্লাহ মানুষের এক দল দিয়ে অন্য দলকে প্রতিহত না করতেন, তবে আশ্রম, গীর্জা, উপাসনালয়, ও মসজিদসমূহ ধ্বংস হয়ে যেতো, যেগুলিতে অধিক হারে ‘আল্লাহ’র নাম উচ্চারিত হয়। আর নিশ্চয় আল্লাহ তাদেরকেই সাহায্য করেন যারা তাঁকে সাহায্য করেন । নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশক্তিমান ও পরাক্রান্ত।'-সুরাহ হাজ্জ, আয়াত-৪০
'সুতরাং আপনি (আল্লাহর পথে মানুষকে) দাওয়াত দিতে থাকুন, আর আল্লাহর নির্দেশিত পথে অবিচল থাকুন; আপনি তাদের খেয়ালখুশির অনুসরণ করবেন না। বলুন, 'আল্লাহ গ্রন্থে যা প্রত্যাদেশ করেছেন তাতে আমি বিশ্বাস করি, আর আমি তোমাদের মধ্যে ন্যায় বিচার করতে আদিষ্ট হয়েছি । আল্লাহ আমাদের পালনকর্তা ও তোমাদের পালনকর্তা। আমাদের জন্যে আমাদের কর্ম এবং তোমাদের জন্যে তোমাদের কর্ম। আমাদের মধ্যে ও তোমাদের মাঝে কোনো বিবাদ নেই। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সমবেত করবেন আর তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তন।'-সূরাহ আশ-শুরা(অধ্যায়-৪২),আয়াত-১৫
'বলুন, ওহে অকৃতজ্ঞ অবিশ্বাসীগণ!আমি তার এবাদত করি না তোমরা যার এবাদত করো;আর তোমরাও তাঁর এবাদত করো না আমি যার এবাদত করি।আর আমি এবাদত করবো না যার এবাদত তোমরা করো।না তোমরা তাঁর এবাদত করবে যার এবাদত আমি করি।তোমাদের ধর্ম (বিশ্বাস) তোমাদের কাছে আমার ধর্ম (বিশ্বাস)আমার কাছে।'-সূরাহ ১০৯ সূরাহ কাফিরূন
‘এমন হতে পারে আল্লাহ তোমাদের ও তোমাদের সাথে যাদের শত্রুতা তাদের মাঝে ভালোবাসার(বন্ধুত্বের) সম্পর্ক স্থাপন করে দিবেন। আল্লাহ সর্বশক্তিমান, এবং আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুণাময়।’-সূরাহ আল-মুমতাহানাহ,অধ্যায়-৬০,আয়াত-৭
মুসা নবীর(তাঁর প্রতি শান্তি) কাহিনী বিবৃত হচ্ছে সূরাহ কাছাছের ১৫,১৬ নং আয়াতে,
'আর তিনি নগরীতে প্রবেশ করলেন (এ শহরের) লোকজনের অগোচরে,আর সেখানে তিনি দু'জন ব্যাক্তিকে মারামারিরত দেখতে পেলেন, একজন তাঁর নিজ সম্প্রদায়ের,অন্যজন শত্র পক্ষের। তাঁর নিজ সম্প্রদায়ের ব্যক্তিটি তাঁকে শত্রু দলের ব্যক্তিটির বিরুদ্ধে সাহায্যের জন্য অনুরোধ করলো।তাই মুসা তাকে ঘুষি মারলেন ও হত্যা করলেন।তিনি বললেনঃএতো শয়তানের কাজ! নিশ্চয় সে এক স্পষ্টতই বিভ্রান্তকারী শত্রু।' 'তিনি বললেনঃহে আমার প্রতিপালক! আমি নিজ নফসের (আত্মার) প্রতি জুলুম করেছে, তাই আমাকে ক্ষমা করুন।আল্লাহ তাকে ক্ষমা করলেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, দয়ালু।' -সূরাহ কাছাছ(অধ্যায়-২৮),আয়াত-১৫,১৬
‘আর তোমার কাছে কি বিবদমানদের কাহিনী পৌঁচেছে? যখন তারা দেয়াল ডিঙ্গিয়ে খাস কামরায়(অন্দরমহলে) প্রবেশ করেছিলো!’
‘যখন তারা দাউদের কাছে পৌঁছুলো, আর তখন তাদেরকে দেখে সে ভয় পেয়ে গিয়েছিলো; তারা বললো, ভয় পাবেন না, আমরা বিবদমান দুই পক্ষ, যাদের মধ্যে একজন অন্যের প্রতি অন্যায় করেছে, সেজন্যে আমাদের মাঝে সঠিক মীমাংসা করে দিন, অন্যায় করবেন না; আর আমাদেরকে নির্ভেজাল পথ দেখিয়ে দিন।’
‘এ হলো আমার ভাই, তার আছে নিরানব্বইটি ভেড়া, আর আমার কাছে একটি মাত্র ভেড়া, তবু সে বলছে, ওটাকে আমার কাছে দিয়ে দাও, সে কথা দিয়ে আমাকে কাবু করেছে।’
‘সে (দাউদ) বললো, নিঃসন্দেহে সে তোমার প্রতি অন্যায় করেছে তার ভেড়াগুলির সাথে তোমার ভেড়াটি দাবী করে;
আর নিশ্চয় অংশীদারদের অনেকেই একে অন্যের প্রতি অবিচার করে; তবে যারা বিশ্বাসী ও সৎকর্মশীল তারা ব্যতিক্রম,
কিন্তু তারা সংখ্যায় কতো না কম! আর দাউদের মনে হলো, আমি তাকে পরীক্ষা করছি; আর তাই সে তার প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা প্রার্থণা করলো, আর সে বিনীত হলো ও গভীর শ্রদ্ধাভরে প্রণত হলো (সেজদায় পড়লো), আর অনুশোচনায় ফিরে এলো।’
‘আমি তাকে ক্ষমা করলাম, আর নিশ্চয় আমার কাছে তা জন্যে রয়েছে নৈকট্য, আর সুন্দর প্রত্যাবর্তনস্থল।'
‘হে দাউদ! নিশ্চয় আমি তোমাকে পৃথিবীতে একজন প্রতিনিধি(ভাইসরয়) করেছি; অতএব তুমি মানুষের মাঝে ন্যায়বিচার করো,
আর খেয়াল-খুশির অনুসরণ করো না, তা তোমাকে আল্লাহর পথ হতে বিচ্যুত করবে; নিশ্চয় যারা আল্লাহর পথ হতে বিচ্যুত হয়, তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি, এ কারণে যে, তারা হিসাবের দিনকে ভূলে যায়।’ -সূরাহ সাদ(অধ্যায়-৩৮),আয়াত-২১ হতে ২৬
‘আর যখন আমি বনী ইসরাইলের কাছ থেকে অংগীকার নিয়েছিলাম যে, তোমরা আল্লাহ ছাড়া অন্যের উপাসনা করো না, আর পিতা-মাতা, আত্নীয়-স্বজন, এতীম ও দরিদ্রদের সাথে ভালো আচরণ করো, আর মানুষজনের সাহতে ভালো কথা বলো, আর প্রার্থণা করো, আর যাকাত আদায় করো; অতঃপর তোমাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক ছাড়া মুখ ফিরিয়ে নিলে, আর তোমরা অস্বীকারীই রয়েছো।’
-সূরাহ বাক্বারাহ, অধ্যায়-২,আয়াত-৮৩
'তিনি তোমাদের জন্যে ধর্মের সে পথই নির্ধারিত করেছেন, যার আদেশ দিয়েছিলেন নূহকে, যা আমি আপনার নিকট প্রত্যাদেশ করেছি আর যার আদেশ দিয়েছিলাম ইব্রাহীম, মূসা ও ঈসাকে এই মর্মে যে, তোমরা বাধ্য থাকো আর তাতে অনৈক্য সৃষ্টি করো না। আপনি অবিশ্বাসীদের প্রতি আমন্ত্রণই জানান, তা তাদের কাছে দুঃসাধ্য বলে মনে হয়। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা মনোনীত করেন এবং যে তাঁর অভিমুখী হয়, তাকে পথ প্রদর্শন করেন।'-সুরাহ আশ-শুরা, ৪২/১৩
‘পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহরই; অতএব তোমরা যেদিকেই মুখ ফেরাও সেদিকেই আল্লাহর অবয়ব। নিশ্চয়! আল্লাহ সর্ব্ব্যাপী, সর্বজ্ঞ।'
-সূরাহ বাক্বারাহ, অধ্যায়-২,আয়াত-১১৫
‘ইহুদীরা বলে খৃস্টানরা সত্যের ওপর নেই, আর খৃস্টানরা বলে ইহুদীরা সত্যের ওপর নেই,অথচ তারা একই ধর্মগ্রন্থ পাঠ করে; এভাবে যারা কিছু জানে না তারাও এমন কথা বলে, শেষ বিচারের দিন যা নিয়ে মতভেদ তারা করেছে আল্লাহ তার মীমাংসা করে দেবেন।'
-সুরাহ বাক্বারাহ(অধ্যায়-২), আয়াত ১১৩
‘নিশ্চয়, যারা বিশ্বাস এনেছে(মুসলমান), আর যারা ইহুদী, আর সাবায়ীন, আর খৃষ্টান, আর অগ্নিপূজারক, আর পৌত্তালিক-নিশ্চয় আল্লাহ পুনরুত্থানের দিনে সবার মাঝে মীমাংসা করে দিবেন। নিশ্চয় আল্লাহ সবকিছুর সাক্ষী।’-সূরাহ হজ্জ, অধ্যায়-২২, আয়াত-১৭
‘আর নিশ্চয় আপনাদের এই ধর্ম একই ধর্ম, আর আমিই আপনাদের পালনকর্তা, সুতরাং আমার প্রতি দায়িত্ব পালনে সতর্ক থাকুন।’
‘অথচ মানব জাতি তাদের ধর্মকে বিভিন্ন গোত্র/শাখায় বিভক্ত করে রেখেছে;প্রত্যেক সম্প্রদায় নিজ নিজ মতবাদ নিয়ে আত্মপ্রসাদরত।’ -সূরাহ মুমিনুন(অধ্যায়-২৩),আয়াত-৫২-৫৩
‘ও বিশ্বাসীগণ বলো, আমরা আল্লাহকে বিশ্বাস করি এবং যা আমাদের ওপর অবতীর্ণ হয়েছে তার প্রতি, আর যা অবতীর্ণ হয়েছে ইব্রাহীম ও ইসমাইল, ও ইসহাক ও জ্যাকব ও তাঁদের বংশধরদের প্রতি, আর যা অবতীর্ণ হয়েছে মুসা, ইসা ও আল্লাহর তরফ থেকে তাঁর নবীগণের প্রতি। আমরা তাঁদের মধ্যে কারো প্রতি কোনো পার্থক্য করি না, এবং আমরা আত্ম-সমর্পিত(মুসলমান)।’
- সুরাহ বাক্বারাহর আয়াত-১৩৬
'বলুন, আমি তো কোন নতুন রসূল নই। আমি জানি না, আমার ও তোমাদের সাথে কী ব্যবহার করা হবে। আমি কেবল তারই অনুসরণ করি, যা আমার প্রতি ওহী করা হয়। আমি স্পষ্ট সতর্ক কারী মাত্র।'-সূরাহ আহক্বাফ(অধ্যায়-৪৬),আয়াত-৯
'সকল মানুষ একই জাতি সত্তার অন্তর্ভুক্ত ছিলো। তারপর আল্লাহ তা'আলা নবী পাঠালেন সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী হিসেবে। আর তাঁদের সাথে অবর্তীণ করলেন সত্য গ্রন্থ, যাতে মানুষের মাঝে বিতর্কমূলক বিষয়ে মীমাংসা করতে পারেন। বস্তুতঃ গ্রন্থের ব্যাপারেতো কেউ মতভেদ করেনি; কিন্তু পরিষ্কার নির্দেশ আসার পরও নিজেদের পারস্পরিক জেদবশতঃ তারাই করেছে, যারা গ্রন্থপ্রাপ্ত হয়েছিলো। তারপর আল্লাহ ঈমানদারদেরকে হেদায়েত করেছেন সেই সত্য বিষয়ে, যে ব্যাপারে তারা মতভেদ লিপ্ত ছিলো। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা, সরল পথ দেখান।' -সুরাহ বাক্বারাহ, আয়াত-২১৩
‘আর নিশ্চয় আপনাদের এই ধর্ম একই ধর্ম, আর আমিই আপনাদের পালনকর্তা, সুতরাং আমার প্রতি দায়িত্ব পালনে সতর্ক থাকুন।’
‘অথচ মানব জাতি তাদের ধর্মকে বিভিন্ন গোত্র/শাখায় বিভক্ত করে রেখেছে;প্রত্যেক সম্প্রদায় নিজ নিজ মতবাদ নিয়ে আত্মপ্রসাদরত।’ -সূরাহ মুমিনুন(অধ্যায়-২৩),আয়াত-৫২-৫৩
'পরকালের ঐ ঘর আমি তাদের জন্য নির্ধারণ করি, যারা পৃথিবীর বুকে ঔদ্ধত্য প্রকাশ করে না, করে না অন্যায়-দূর্নীতি।ধার্মিকদের (আল্লাহ সচেতনদের) জন্য শুভ পরিণাম।'-সূরাহ আল-ক্বাসাস, অধ্যায়-২৮ আয়াত-৮৩
‘আপনি প্রজ্ঞা ও সদুপদেশের মাধ্যমে মানুষকে আপনার প্রতিপালকের পথে আহবান করুন। সবচেয়ে ভালো পন্থায় তাদের সাথে আলাপ করুন। নিশ্চয় আপনার প্রতিপালক বিপথগামীদের সবচেয়ে ভালো জানেন, আর তাকেও সবচেয়ে ভালো জানেন যে সঠিক পথপ্রাপ্ত।’ -সুরাহ নহল (অধ্যায়-১৬)আয়াত-১২৫
‘প্রতিশোধ গ্রহণ করতে চাইলে ততোটুকু গ্রহণ করবে, যতোটুকু অন্যায় তোমরা পেয়েছো। আর ধৈর্য ধারণ করলে ধৈর্যশীলদের জন্য সেটাই উত্তম।'
‘আর আপনি ধৈর্য ধরুন, আপনার ধৈর্যতো আল্লাহর কৃপায় । তাদের কারণে দুঃখ করবেন না এবং তাদের চক্রান্তে মনক্ষুণ্ণ হবেন না।’
‘নিশ্চয় আল্লাহ মুত্তাকী ও পূণ্যবানদের সংগে আছেন।’-সুরাহ নাহল, (অধ্যায়-১৬)আয়াত-১২৬-১২৮
'সমান নয় ভালো ও মন্দ। মন্দকে ভালো দিয়ে পালটে দিন। আর আপনার সাথে যার শত্রুতা, সে তবে অন্তরঙ্গ বন্ধু হয়ে যাবে।'
'এ চরিত্র তারাই লাভ করে যারা ধৈর্য অনুশীলন করে আর আত্মসংযমী; কেবল যারা খুবই ভাগ্যবান।'
-সুরাহ হা-মীম সাজদাহ, অধ্যায়-৪১, আয়াত-৩৪,৩৫
'পরম দয়াময়ের বান্দা তারাই যারা পৃথিবীর বুকে নম্রভাবে চলাফেরা করে, যখন অজ্ঞরা তাদেরকে সম্বোধন করে তখন শান্তিসূচক কথা বলে।'-সূরাহ ফুরকান,অধ্যায়-২৫,আয়াত-৬৩
‘আর আমি তাদের বিভক্ত করেছি দুনিয়ায় বিভিন্ন সম্প্রদায়ে, যাদের কিছু ঠিক পথের অনুসারী আর কিছু এমন নয়।
আর আমি তাদের ভালো-মন্দ দিয়ে পরীক্ষা করছি, যেনো তারা ফিরে আসে।’
‘আর আমার সৃষ্টিতে এমন এক দল আছে যারা সঠিক পথ দেখায় এবং ন্যায় বিচার করে।’
‘তাদেরকে সৎ পথে ডাকলে তারা কিছুই শুনবে না। এবং দেখবেন যে, আপনার দিকে চেয়ে আছে অথচ তারা কিছুই দেখে না।’
‘ক্ষমাপরায়ণতা অবলম্বন করুণ, সৎ কাজের নির্দেশ দেন এবং অজ্ঞদের উপেক্ষা করুন।’
-সূরাহ রা'রাফ(অধ্যায়-৭), আয়াত-১৬৮,১৮১,১৯৮,১৯৯
‘বলুন, হে মানুষ! যদি তোমরা আমার ধর্ম নিয়ে সংশয়ী হও, তবে আমি তাদের এবাদত করি না যাদের এবাদত তোমরা করো আল্লাহকে ছেড়ে, বরং আমি এবাদত করি আল্লাহর, যিনি তোমাদের মৃত্যু দেন, আমি আদিষ্ট হয়েছি বিশ্বাসীদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য।’
-সুরাহ ইউনুস আয়াত ৯৯-১০৪
‘আর আপনি যখন তাদেরকে দেখেন,যারা আমার আয়াত(প্রত্যাদেশ)সমূহ নিয়ে অসার কথাবার্তায়(কুটতর্কে) লিপ্ত, তখন তাদের কাছ থেকে সরে যান যতোক্ষণ না তারা অন্য আলোচনায় প্রবৃত্ত হয়।আর যদি শয়তান আপনাকে ভুলিয়ে দেয়,তবে স্মরণে আসার পর অন্যায়কারীদের সাথে বসবেন না।’
‘আর যারা তাকওয়াধারী (আল্লাহ সচেতন) তারা মোটেও তাদের(অবিশ্বাসী/পথভ্রষ্ট্রদের) ব্যাপারে দায়বদ্ধ নয়, দায়িত্ব শুধু তাদেরকে(অবিশ্বাসী/পথভ্রষ্ট্রদেরকে) সতর্ক করে দেয়া-এতে হয়তো তারাও আল্লাহ সচেতন হতে পারে।’
-সূরাহ আন'আম(অধ্যায়-৬),আয়াত-৬৮,৬৯
'তোমরা যারা বিশ্বাস এনেছো! তোমরা (অন্যের ব্যাপারে) নেতিবাচক আন্দাজ-অনুমান করা থেকে বিরত থাকো;
নেতিবাচক ধারণা পোষন করা কোনো কোনো ক্ষেত্রে অপরাধ;(অন্যের ব্যক্তিগত গোপনীয় বিষয়ে) গোয়েন্দাগিরি করো না,
কারো অনুপস্থিতিতে পরনিন্দা (গিবত) করো না, তোমাদের কেউ কি মৃত ভাইয়ের মাংস খেতে পছন্দ করবে?
তোমরা বরং তা ঘৃণাই করবে; সবসময় আল্লাহের নির্দেশের ব্যাপারে সতর্ক থেকো (আল্লাহকে ভয় করো, আল্লাহ-সচেতন হও);
নিশ্চয় আল্লাহ অনুশোচনা গ্রহণকারী( তওবা কবুলকারী), পরম দয়ালু।' -সূরাহ হুজুরাত(অধ্যায়-৪৯),আয়াত-১২
'আল্লাহ অত্যাচারিত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কারো মন্দ কথার প্রচারণা পছন্দ করেন না। আল্লাহ সর্ব শ্রোতা ও সর্ব দ্রষ্টা।'
-সুরাহ নিসা আয়াত ১৪৮
'আর দেব-দেবীর (বহুত্ববাদী) পূজারীরা কেউ যদি তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে, তবে তাকে আশ্রয় দিবে, যাতে সে আল্লাহর বাণী শুনতে পায়, তারপর তাকে তার নিরাপদ স্থানে পৌছে দেবে। এটি এজন্যে যে তারা জ্ঞান রাখে না।'-সূরাহ তওবা (অধ্যায়-৯),আয়াত-৬
শান্তি ও সম্প্রীতি বিষয়ে কুর’আনে বেশ কিছু গুরুত্বপুর্ণ আয়াত রয়েছে। সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এই আয়াতগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অথচ আয়াতগুলি অনেকের চোখ এড়িয়ে যায় কিনা জানিনা, কিন্তু সেসবের প্রচার ও আলোচনা যৎ সামান্যই। আমি কিছু বাছাই করে এখানে তুলে ধরলামঃ
‘হে বিশ্বাসীরা! আল্লাহর স্বাক্ষীরূপে ন্যায় বিচারে দৃঢ় থাকো, যদিও তা তোমাদের নিজেদের বিরুদ্ধে যায় অথবা মাতা-পিতা ও আত্মীয়-স্বজনদের বিরুদ্ধেও। যদিবা সে ধনী বা গরীব হয়, আল্লাহ উভয়ের প্রতিই দয়ালু। সুতরাং ব্যক্তিগত কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ করো না পাছে তোমারা ন্যায় বিচার থেকে বিচ্যূত হয়ে পড়ো। আর যদি তোমরা তা করো বা এড়িয়ে যাও, তবে নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের কৃতকর্মের খবর রাখেন।’ -সুরাহ নিসা আয়াত-১৩৫
‘ওহে বিশ্বাসীগণ! আল্লাহর জন্য অবিচল থেকো ন্যায় সাক্ষী রূপে,আর অন্যের(কোনো সম্প্রদায়ের) ঘৃণার কারণে নিজেকে ন্যায়বিচার থেকে বিরত রেখো না।সুবিচার করোঃএটাই আল্লাহ সচেতনতার (তাকওয়া)অধিক নিকটবর্তী, আল্লাহ সচেতন হও(ধার্মিক হও)।তোমরা যা করো নিশ্চয় আল্লাহ সে সম্পর্কে জানেন।’- সূরাহ মা'ইদা(অধ্যায়-৫),আয়াত-৮
'যদি তুমি আমাকে হত্যা করতে আমার দিকে হাত বাড়াও, তবুও আমি তোমাকে হত্যা করতে তোমার দিকে আমার হাত বাড়াবো না। কেননা, আমি বিশ্বজগতের পালনকর্তা আল্লাহকে ভয় করি।'-সুরাহ আল-মাইদাহ, অধ্যায়-৫, আয়াত-২৮
‘এ জন্য আমি বনী ইসরাঈলের প্রতি এ নির্দেশ দিলাম যে,নরহত্যা বা ধ্বংসাত্মক কাজ ছাড়া কেউ কাউকে হত্যা করলে সে যেনো হত্যা করলো দুনিয়ার সকল মানুষকে, আর যে কেউ কারো জীবন রক্ষা করলো সে যেনো সকলের জীবনরক্ষা করলো, তাদের কাছে তো রাসুলরা নিদর্শনসহ আগমন করেছিলেন, কিনতু এরপরও অনেকেই দুনিয়ায় সীমা লংঘন করে।’-সুরাহ মা-য়িদাহ /আয়াত-৩২
'...ঐ প্রাণ কেড়ে নিয়ো না যা আল্লাহ পবিত্র করেছেন,আইন ও বিচারের পথ ছাড়া । এ ভাবেই তিনি তোমাদের নির্দেশ করেন, যেনো তোমরা প্রজ্ঞা লাভ করতে পারো।' -সুরাহ আন'আম, ৬ঃ১৫১
‘আর যখন তাদেরকে বলা হয়ঃ পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি(অন্যায়) করো না, তারা বলেঃ আমরাতো কেবল শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী (অবস্থার উন্নতির জন্য সংস্কার সাধন করছি)। মনে রেখো, বাস্তবিকই তারাই বিপর্যয়সৃষ্টিকারী(অন্যায়কারী),কিন্তু তারা উপলব্ধি করে না।’
সূরাহ বাক্বারাহ(অধ্যায়-২),আয়াত-১১,১২
'(আর)তোমরা ভালো কাজ থেকে, বা আল্লাহ'র সচেতনতায় ন্যায় কাজ থেকে, অথবা মানুষে-মানুষে শান্তি স্থাপনের কাজ থেকে বিরত থাকতে নিজেদের শপথে আল্লাহ'র নাম-কে অজুহাত হিসেবে নিবে না; আল্লাহ সব শোনেন, জানেন।'
- সূরাহ বাক্বারাহ(অধ্যায়-২),আয়াত-২২৪
'যারা পবিত্র মসজিদ থেকে তোমাদেরকে বাধা প্রদান করেছিলো, সেই সম্প্রদায়ের ঘৃণা-আক্রোশ যেন তোমাদেরকে সীমালঙ্ঘনে প্ররোচিত না করে; সৎকর্ম ও ধার্মিকতায় একে অন্যকে সাহায্য করো, পাপাচার ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যেকে সাহায্য করো না; আল্লাহকে ভয় করো (আল্লাহ সচেতন হও)। আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা' -সূরাহ মাইদাহ (অধ্যায়-৫)আয়াত-২(২৭-৫২)
‘ধর্মের কারণে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিষ্কার করেনি, তাদের প্রতি সদয় হতে ও ন্যায়সঙ্গত আচরণ করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না। নিশ্চয় আল্লাহ ন্যায়সঙ্গত আচরণকারীদেরকে ভালবাসেন।’
-সূরাহ আল-মুমতাহানাহ,অধ্যায়-৬০,আয়াত-৮
‘আল্লাহ তোমাদেরকে (বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়তে) নিষেধ করেন, কেবল যারা ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিষ্কার করেছে এবং বহিষ্কার কাজে সহযোগিতার জোট বেঁধেছে। আর যারা তাদের সাথে সহযোগিতার জোট বাঁধে, তারা অন্যায়কারী।’-সূরাহ আল-মুমতাহানাহ,অধ্যায়-৬০,আয়াত-৯
'আর যে নির্যাতিত হওয়ার পরে অন্যায়-জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়(প্রতিরোধ গড়ে তোলে)তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই।’
'অভিযোগতো তাদের বিরুদ্ধে যারা মনুষের উপর অত্যাচার-নির্যাতন চালায় ও অন্যায়ভাবে বিদ্রোহ করে বেড়ায়। তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।’-সুরাহ আশ-শুরা(অধ্যায়-৪২),আয়াত-৪১-৪২
‘আর যখন আমি তোমাদের কাছ থেকে অংগীকার নিয়েছিলাম যে, তোমরা নিজেদের মধ্যে রক্তপাত করো না, আর তোমাদের বাসভূমি থেকে নিজেদের লোকদেরকে বের করে দিয়ো না; তখন তোমরা তা স্বীকার করেছিলে এবং তোমরা তার সাক্ষ্য দিয়েছিলে।’
-সূরাহ বাক্বারাহ, অধ্যায়-২, আয়াত-৮৪
'তারপর তোমরাই একে অন্যকে হত্যা করছো, এবং তোমাদেরই একদলকে তাদের দেশ থেকে বহিষ্কার করছো, তাদের বিরুদ্ধে পাপ ও অন্যায়ের মাধ্যমে পরষ্পর সহযোগিতা করছো। আর তারা কেউ যদি তোমাদের কাছে যুদ্ধবন্দী হয়ে আসে, তবে মুক্তিপণ/বিনিময় নিয়ে বন্দীমুক্তি দিচ্ছো হয়ে, অথচ তাদের বহিষ্কার করাই তোমাদের জন্য ছিলো নিষিদ্ধ (অবৈধ)। তবে কি তোমরা গ্রন্থের কিছু অংশ বিশ্বাস করো, আর কিছু অংশ অবিশ্বাস করো? তোমাদের মধ্যে যারা এরূপ করে তাদের জন্য পার্থিব জীবনে দুর্ভোগ ছাড়া আর কী ক্ষতিপূরণ আছে; আর পূনরুত্থানের দিনে তাদের জন্য আছে ভয়াবহ পরিণতি। আর তোমরা যা করো সে বিষয়ে আল্লাহ অজ্ঞাত নন।'
-সূরাহ বাক্বারাহ, অধ্যায়-২ আয়াত-৮৫
'আল্লাহ তাদের অন্তরের সবকিছু পুরোপুরি জানেন; তাই তাদেরকে এড়িয়ে চলুন। এবং তাদের সদুপদেশ দিন ও হৃদয়গ্রাহী কথা বলুন। আমি রাসুল এ কারণেই পাঠিয়েছি, যেন আল্লাহর আদেশে তাঁর আনুগত্য করে, তারা নিজেদের প্রতি জুলুম করার পর যদি আপনার কাছে এসে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতো এবং রাসুলও ক্ষমা চাইতেন, তবে তারা আল্লাহকে ক্ষমাশীল, দয়ালু পেতো।'
-সূরাহ নিসা(অধ্যায়-৪), আয়াত-৬৩
'আদ জাতির ব্যাপারতো এমন যে, তারা পৃথিবীর বুকে অযথা দম্ভ করতো আর বলতো 'আমাদের চেয়ে শক্তিধর আর কে আছে?' তারা কি দেখে না, তাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তাদের চেয়ে কতো শক্তিময়? অথচ তারা আমার নিদর্শনসমূহ অস্বীকার করে।'
'সে জন্য আমি তাদের উপর পাঠালাম করলাম প্রচন্ড ঝঞ্বাবায়ু, পার্থিব জীবনে তাদেরকে অপমানকর শাস্তির আস্বাদন করানোর জন্য। আর পরকালের শাস্তিতো আরো লাঞ্ছনাকর, সেখানে তারা কোনো সাহায্যকারী পাবে না।'-সুরাহ হা-মী--ম সাজ্বদাহ, আয়াত-১৫,১৬
'ও আমার জাতি ! ন্যায় নিষ্ঠার সাথে ঠিক মতো পরিমাপ করো ও ওজন দাও, এবং (প্রতারণামূলকভাবে) লোকজনের জিনিসপত্রের কোনোরূপ ক্ষতি করো না, পৃথিবীতে/দেশে অনিষ্ট/নাশকতা করো না,দূর্নীতি করো না।'-সুরাহ হুদ,১১ঃ৮৫
'সুতরাং আপনি (আল্লাহর পথে মানুষকে) দাওয়াত দিতে থাকুন, আর আল্লাহর নির্দেশিত পথে অবিচল থাকুন; আপনি তাদের খেয়ালখুশীর অনুসরণ করবেন না। বলুন, 'আল্লাহ গ্রন্থে যা প্রত্যাদেশ করেছেন তাতে আমি বিশ্বাস করি, আর আমি তোমাদের মধ্যে ন্যায় বিচার করতে আদিষ্ট হয়েছি । আল্লাহ আমাদের পালনকর্তা ও তোমাদের পালনকর্তা। আমাদের জন্যে আমাদের কর্ম এবং তোমাদের জন্যে তোমাদের কর্ম। আমাদের মধ্যে ও তোমাদের মাঝে কোনো বিবাদ নেই। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সমবেত করবেন আর তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তন।'-সূরাহ আশ-শুরা(অধ্যায়-৪২),আয়াত-১৫
‘কিন্তু যদি তারা আপনার কথায় সাড়া না দেয়,তবে জানবেন,তারা শুধু তাদের কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ করে। আর যে আল্লাহর পথনির্দেশনা(হেদায়েত) ছেড়ে কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ করে তার চেয়ে অধিক পথভ্রষ্ট আর কে? নিশ্চয় আল্লাহ নীতিহীন(অন্যায়কারী,পথভ্রষ্ট) জাতিকে/ সম্প্রদায়কে/লোকদের পথ দেখান না।’-সূরাহ কাসাস(কাহিনীসমূহ)(অধ্যায়-২৮),আয়াত-৫০
‘আর যখন তারা অসার(বাজে) কথাবার্তা শোনে তখন তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় ও বলেঃ আমাদের জন্য আমাদের কর্ম এবং তোমাদের জন্য তোমাদের কর্ম। তোমাদের প্রতি শান্তি; অজ্ঞদের অনুসরণ করতে চাই না।’-সূরাহ কাসাস(কাহিনীসমূহ)(অধ্যায়-২৮),আয়াত-৫৫
'যারা আল্লাহর বিধান মেনে নেয়ার পর (বা তার অংগীকার করার পর) সেই দৃঢ় চুক্তি/প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে এবং আল্লাহ যা অবিচ্ছিন্ন রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন তা ছিন্ন করে,আর পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করেঃ তারাই ব্যর্থ।'-সূরাহ বাক্বারাহ,অধ্যায়-২, আয়াত-২৭
'আর আপনার প্রতিপালক যখন ফেরশতাদের বললেনঃ বাস্তবিকই আমি পৃথিবীতে এক প্রতিনিধি/ভাইসরয় (শযধষīভধঃধহ) প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছি,তারা বললোঃ আপনি কি এখানে এমন কাউকে প্রতিষ্ঠা করবেন যে দূর্নীতি-অন্যায় ছড়িয়ে বেড়াবে,আর রক্তপাত ঘটাবে? যখন আমরা আপনার প্রশংসারত ও আপনার পবিত্র সত্তাকে স্মরণ করছি? তিনি বলেলেনঃ নিশ্চয় আমি যা জানি তা তোমরা জানো না।' -সূরাহ বাক্বারাহ, অধ্যায়-২, আয়াত-৩০
‘আর ফিরে গিয়ে, জমিনে তার চেষ্টা থাকে অনিষ্ট সাধন করা, শস্যক্ষেত ও জীবজন্তু ধ্বংস করা; আর আল্লাহ অন্যায় পছন্দ করেন না।’ -সূরাহ বাক্বারাহ, অধ্যায়-২, আয়াত-২০৫
‘দুনিয়া ও পরকাল সম্পর্কে; আর তারা অনাথদের ব্যাপারে আপনাকে জিজ্ঞেস করে,বলুনঃ তাদের পুর্নবাসনই শ্রেয়তর, আর যদি তাদেরকে তোমাদের সাথে নাও তবে তারা তোমাদেরই ভাই; আল্লাহ জানেন কে অনিষ্টকারী, কে সংস্কারকামী(কল্যাণকারী); আর যদি আল্লাহ ইচ্ছা করতেন নিশ্চয় তিনি তোমাদেরকে বিপদের মধ্যে ফেলতে পারতেন; আল্লাহ পরাক্রমশালী,প্রজ্ঞাময়।’
-সূরাহ বাক্বারাহ, অধ্যায়-২, আয়াত-২২০
'তোমরা তাদেরকে অপমান করো না আল্লাহ ছাড়া যাদেরকে তারা ডাকে, নয়তো অজ্ঞতাবশত সীমা অতিক্রম করে তারাও আল্লাহকে অপমান করবে। এভাব আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের কাছে নিজেদের কর্মকান্ডকে সুশোভিত করে দিয়েছি। তারপর তাদের প্রতিপালকের কাছে তাদের প্রত্যাবর্তন। আর তখন তিনি বলে দেবেন তারা যা করতো।'-সূরাহ আন’আম(অধ্যায়-৫),আয়াত-১০৮
‘বিশ্বাসীগণ! যদি কোনো নীতিহীন(মন্দ)ব্যক্তি তোমাদের কাছে কোনো সংবাদ নিয়ে আসে, তখন তোমরা পরীক্ষা করে দেখবে, যাতে অজ্ঞতাবশত তোমরা কোনো সম্প্রদায়ের ক্ষতি করতে প্রবৃত্ত না হও, আর পরে নিজেদের কৃতকর্মের জন্যে না অনুতপ্ত হও।'
-সূরাহ হুযুরাত(অধ্যায়-৪৯),আয়াত-৬
'যারা অন্যায়ভাবে বহিষ্কৃত হয়েছে বসত-বাড়ি থেকে শুধু এ কারণে যে তারা শুধু বলতো, আমাদের স্রষ্টা হলেন আল্লাহ; আর যদি আল্লাহ মানুষের এক দল দিয়ে অন্য দলকে প্রতিহত না করতেন, তবে আশ্রম, গীর্জা, উপাসনালয়, ও মসজিদসমূহ ধ্বংস হয়ে যেতো, যেগুলিতে অধিক হারে ‘আল্লাহ’র নাম উচ্চারিত হয়। আর নিশ্চয় আল্লাহ তাদেরকেই সাহায্য করেন যারা তাঁকে সাহায্য করেন । নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশক্তিমান ও পরাক্রান্ত।'-সুরাহ হাজ্জ, আয়াত-৪০
'সুতরাং আপনি (আল্লাহর পথে মানুষকে) দাওয়াত দিতে থাকুন, আর আল্লাহর নির্দেশিত পথে অবিচল থাকুন; আপনি তাদের খেয়ালখুশির অনুসরণ করবেন না। বলুন, 'আল্লাহ গ্রন্থে যা প্রত্যাদেশ করেছেন তাতে আমি বিশ্বাস করি, আর আমি তোমাদের মধ্যে ন্যায় বিচার করতে আদিষ্ট হয়েছি । আল্লাহ আমাদের পালনকর্তা ও তোমাদের পালনকর্তা। আমাদের জন্যে আমাদের কর্ম এবং তোমাদের জন্যে তোমাদের কর্ম। আমাদের মধ্যে ও তোমাদের মাঝে কোনো বিবাদ নেই। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সমবেত করবেন আর তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তন।'-সূরাহ আশ-শুরা(অধ্যায়-৪২),আয়াত-১৫
'বলুন, ওহে অকৃতজ্ঞ অবিশ্বাসীগণ!আমি তার এবাদত করি না তোমরা যার এবাদত করো;আর তোমরাও তাঁর এবাদত করো না আমি যার এবাদত করি।আর আমি এবাদত করবো না যার এবাদত তোমরা করো।না তোমরা তাঁর এবাদত করবে যার এবাদত আমি করি।তোমাদের ধর্ম (বিশ্বাস) তোমাদের কাছে আমার ধর্ম (বিশ্বাস)আমার কাছে।'-সূরাহ ১০৯ সূরাহ কাফিরূন
‘এমন হতে পারে আল্লাহ তোমাদের ও তোমাদের সাথে যাদের শত্রুতা তাদের মাঝে ভালোবাসার(বন্ধুত্বের) সম্পর্ক স্থাপন করে দিবেন। আল্লাহ সর্বশক্তিমান, এবং আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুণাময়।’-সূরাহ আল-মুমতাহানাহ,অধ্যায়-৬০,আয়াত-৭
মুসা নবীর(তাঁর প্রতি শান্তি) কাহিনী বিবৃত হচ্ছে সূরাহ কাছাছের ১৫,১৬ নং আয়াতে,
'আর তিনি নগরীতে প্রবেশ করলেন (এ শহরের) লোকজনের অগোচরে,আর সেখানে তিনি দু'জন ব্যাক্তিকে মারামারিরত দেখতে পেলেন, একজন তাঁর নিজ সম্প্রদায়ের,অন্যজন শত্র পক্ষের। তাঁর নিজ সম্প্রদায়ের ব্যক্তিটি তাঁকে শত্রু দলের ব্যক্তিটির বিরুদ্ধে সাহায্যের জন্য অনুরোধ করলো।তাই মুসা তাকে ঘুষি মারলেন ও হত্যা করলেন।তিনি বললেনঃএতো শয়তানের কাজ! নিশ্চয় সে এক স্পষ্টতই বিভ্রান্তকারী শত্রু।' 'তিনি বললেনঃহে আমার প্রতিপালক! আমি নিজ নফসের (আত্মার) প্রতি জুলুম করেছে, তাই আমাকে ক্ষমা করুন।আল্লাহ তাকে ক্ষমা করলেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, দয়ালু।' -সূরাহ কাছাছ(অধ্যায়-২৮),আয়াত-১৫,১৬
‘আর তোমার কাছে কি বিবদমানদের কাহিনী পৌঁচেছে? যখন তারা দেয়াল ডিঙ্গিয়ে খাস কামরায়(অন্দরমহলে) প্রবেশ করেছিলো!’
‘যখন তারা দাউদের কাছে পৌঁছুলো, আর তখন তাদেরকে দেখে সে ভয় পেয়ে গিয়েছিলো; তারা বললো, ভয় পাবেন না, আমরা বিবদমান দুই পক্ষ, যাদের মধ্যে একজন অন্যের প্রতি অন্যায় করেছে, সেজন্যে আমাদের মাঝে সঠিক মীমাংসা করে দিন, অন্যায় করবেন না; আর আমাদেরকে নির্ভেজাল পথ দেখিয়ে দিন।’
‘এ হলো আমার ভাই, তার আছে নিরানব্বইটি ভেড়া, আর আমার কাছে একটি মাত্র ভেড়া, তবু সে বলছে, ওটাকে আমার কাছে দিয়ে দাও, সে কথা দিয়ে আমাকে কাবু করেছে।’
‘সে (দাউদ) বললো, নিঃসন্দেহে সে তোমার প্রতি অন্যায় করেছে তার ভেড়াগুলির সাথে তোমার ভেড়াটি দাবী করে;
আর নিশ্চয় অংশীদারদের অনেকেই একে অন্যের প্রতি অবিচার করে; তবে যারা বিশ্বাসী ও সৎকর্মশীল তারা ব্যতিক্রম,
কিন্তু তারা সংখ্যায় কতো না কম! আর দাউদের মনে হলো, আমি তাকে পরীক্ষা করছি; আর তাই সে তার প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা প্রার্থণা করলো, আর সে বিনীত হলো ও গভীর শ্রদ্ধাভরে প্রণত হলো (সেজদায় পড়লো), আর অনুশোচনায় ফিরে এলো।’
‘আমি তাকে ক্ষমা করলাম, আর নিশ্চয় আমার কাছে তা জন্যে রয়েছে নৈকট্য, আর সুন্দর প্রত্যাবর্তনস্থল।'
‘হে দাউদ! নিশ্চয় আমি তোমাকে পৃথিবীতে একজন প্রতিনিধি(ভাইসরয়) করেছি; অতএব তুমি মানুষের মাঝে ন্যায়বিচার করো,
আর খেয়াল-খুশির অনুসরণ করো না, তা তোমাকে আল্লাহর পথ হতে বিচ্যুত করবে; নিশ্চয় যারা আল্লাহর পথ হতে বিচ্যুত হয়, তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি, এ কারণে যে, তারা হিসাবের দিনকে ভূলে যায়।’ -সূরাহ সাদ(অধ্যায়-৩৮),আয়াত-২১ হতে ২৬
‘আর যখন আমি বনী ইসরাইলের কাছ থেকে অংগীকার নিয়েছিলাম যে, তোমরা আল্লাহ ছাড়া অন্যের উপাসনা করো না, আর পিতা-মাতা, আত্নীয়-স্বজন, এতীম ও দরিদ্রদের সাথে ভালো আচরণ করো, আর মানুষজনের সাহতে ভালো কথা বলো, আর প্রার্থণা করো, আর যাকাত আদায় করো; অতঃপর তোমাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক ছাড়া মুখ ফিরিয়ে নিলে, আর তোমরা অস্বীকারীই রয়েছো।’
-সূরাহ বাক্বারাহ, অধ্যায়-২,আয়াত-৮৩
'তিনি তোমাদের জন্যে ধর্মের সে পথই নির্ধারিত করেছেন, যার আদেশ দিয়েছিলেন নূহকে, যা আমি আপনার নিকট প্রত্যাদেশ করেছি আর যার আদেশ দিয়েছিলাম ইব্রাহীম, মূসা ও ঈসাকে এই মর্মে যে, তোমরা বাধ্য থাকো আর তাতে অনৈক্য সৃষ্টি করো না। আপনি অবিশ্বাসীদের প্রতি আমন্ত্রণই জানান, তা তাদের কাছে দুঃসাধ্য বলে মনে হয়। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা মনোনীত করেন এবং যে তাঁর অভিমুখী হয়, তাকে পথ প্রদর্শন করেন।'-সুরাহ আশ-শুরা, ৪২/১৩
‘পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহরই; অতএব তোমরা যেদিকেই মুখ ফেরাও সেদিকেই আল্লাহর অবয়ব। নিশ্চয়! আল্লাহ সর্ব্ব্যাপী, সর্বজ্ঞ।'
-সূরাহ বাক্বারাহ, অধ্যায়-২,আয়াত-১১৫
‘ইহুদীরা বলে খৃস্টানরা সত্যের ওপর নেই, আর খৃস্টানরা বলে ইহুদীরা সত্যের ওপর নেই,অথচ তারা একই ধর্মগ্রন্থ পাঠ করে; এভাবে যারা কিছু জানে না তারাও এমন কথা বলে, শেষ বিচারের দিন যা নিয়ে মতভেদ তারা করেছে আল্লাহ তার মীমাংসা করে দেবেন।'
-সুরাহ বাক্বারাহ(অধ্যায়-২), আয়াত ১১৩
‘নিশ্চয়, যারা বিশ্বাস এনেছে(মুসলমান), আর যারা ইহুদী, আর সাবায়ীন, আর খৃষ্টান, আর অগ্নিপূজারক, আর পৌত্তালিক-নিশ্চয় আল্লাহ পুনরুত্থানের দিনে সবার মাঝে মীমাংসা করে দিবেন। নিশ্চয় আল্লাহ সবকিছুর সাক্ষী।’-সূরাহ হজ্জ, অধ্যায়-২২, আয়াত-১৭
‘আর নিশ্চয় আপনাদের এই ধর্ম একই ধর্ম, আর আমিই আপনাদের পালনকর্তা, সুতরাং আমার প্রতি দায়িত্ব পালনে সতর্ক থাকুন।’
‘অথচ মানব জাতি তাদের ধর্মকে বিভিন্ন গোত্র/শাখায় বিভক্ত করে রেখেছে;প্রত্যেক সম্প্রদায় নিজ নিজ মতবাদ নিয়ে আত্মপ্রসাদরত।’ -সূরাহ মুমিনুন(অধ্যায়-২৩),আয়াত-৫২-৫৩
‘ও বিশ্বাসীগণ বলো, আমরা আল্লাহকে বিশ্বাস করি এবং যা আমাদের ওপর অবতীর্ণ হয়েছে তার প্রতি, আর যা অবতীর্ণ হয়েছে ইব্রাহীম ও ইসমাইল, ও ইসহাক ও জ্যাকব ও তাঁদের বংশধরদের প্রতি, আর যা অবতীর্ণ হয়েছে মুসা, ইসা ও আল্লাহর তরফ থেকে তাঁর নবীগণের প্রতি। আমরা তাঁদের মধ্যে কারো প্রতি কোনো পার্থক্য করি না, এবং আমরা আত্ম-সমর্পিত(মুসলমান)।’
- সুরাহ বাক্বারাহর আয়াত-১৩৬
'বলুন, আমি তো কোন নতুন রসূল নই। আমি জানি না, আমার ও তোমাদের সাথে কী ব্যবহার করা হবে। আমি কেবল তারই অনুসরণ করি, যা আমার প্রতি ওহী করা হয়। আমি স্পষ্ট সতর্ক কারী মাত্র।'-সূরাহ আহক্বাফ(অধ্যায়-৪৬),আয়াত-৯
'সকল মানুষ একই জাতি সত্তার অন্তর্ভুক্ত ছিলো। তারপর আল্লাহ তা'আলা নবী পাঠালেন সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী হিসেবে। আর তাঁদের সাথে অবর্তীণ করলেন সত্য গ্রন্থ, যাতে মানুষের মাঝে বিতর্কমূলক বিষয়ে মীমাংসা করতে পারেন। বস্তুতঃ গ্রন্থের ব্যাপারেতো কেউ মতভেদ করেনি; কিন্তু পরিষ্কার নির্দেশ আসার পরও নিজেদের পারস্পরিক জেদবশতঃ তারাই করেছে, যারা গ্রন্থপ্রাপ্ত হয়েছিলো। তারপর আল্লাহ ঈমানদারদেরকে হেদায়েত করেছেন সেই সত্য বিষয়ে, যে ব্যাপারে তারা মতভেদ লিপ্ত ছিলো। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা, সরল পথ দেখান।' -সুরাহ বাক্বারাহ, আয়াত-২১৩
‘আর নিশ্চয় আপনাদের এই ধর্ম একই ধর্ম, আর আমিই আপনাদের পালনকর্তা, সুতরাং আমার প্রতি দায়িত্ব পালনে সতর্ক থাকুন।’
‘অথচ মানব জাতি তাদের ধর্মকে বিভিন্ন গোত্র/শাখায় বিভক্ত করে রেখেছে;প্রত্যেক সম্প্রদায় নিজ নিজ মতবাদ নিয়ে আত্মপ্রসাদরত।’ -সূরাহ মুমিনুন(অধ্যায়-২৩),আয়াত-৫২-৫৩
'পরকালের ঐ ঘর আমি তাদের জন্য নির্ধারণ করি, যারা পৃথিবীর বুকে ঔদ্ধত্য প্রকাশ করে না, করে না অন্যায়-দূর্নীতি।ধার্মিকদের (আল্লাহ সচেতনদের) জন্য শুভ পরিণাম।'-সূরাহ আল-ক্বাসাস, অধ্যায়-২৮ আয়াত-৮৩
‘আপনি প্রজ্ঞা ও সদুপদেশের মাধ্যমে মানুষকে আপনার প্রতিপালকের পথে আহবান করুন। সবচেয়ে ভালো পন্থায় তাদের সাথে আলাপ করুন। নিশ্চয় আপনার প্রতিপালক বিপথগামীদের সবচেয়ে ভালো জানেন, আর তাকেও সবচেয়ে ভালো জানেন যে সঠিক পথপ্রাপ্ত।’ -সুরাহ নহল (অধ্যায়-১৬)আয়াত-১২৫
‘প্রতিশোধ গ্রহণ করতে চাইলে ততোটুকু গ্রহণ করবে, যতোটুকু অন্যায় তোমরা পেয়েছো। আর ধৈর্য ধারণ করলে ধৈর্যশীলদের জন্য সেটাই উত্তম।'
‘আর আপনি ধৈর্য ধরুন, আপনার ধৈর্যতো আল্লাহর কৃপায় । তাদের কারণে দুঃখ করবেন না এবং তাদের চক্রান্তে মনক্ষুণ্ণ হবেন না।’
‘নিশ্চয় আল্লাহ মুত্তাকী ও পূণ্যবানদের সংগে আছেন।’-সুরাহ নাহল, (অধ্যায়-১৬)আয়াত-১২৬-১২৮
'সমান নয় ভালো ও মন্দ। মন্দকে ভালো দিয়ে পালটে দিন। আর আপনার সাথে যার শত্রুতা, সে তবে অন্তরঙ্গ বন্ধু হয়ে যাবে।'
'এ চরিত্র তারাই লাভ করে যারা ধৈর্য অনুশীলন করে আর আত্মসংযমী; কেবল যারা খুবই ভাগ্যবান।'
-সুরাহ হা-মীম সাজদাহ, অধ্যায়-৪১, আয়াত-৩৪,৩৫
'পরম দয়াময়ের বান্দা তারাই যারা পৃথিবীর বুকে নম্রভাবে চলাফেরা করে, যখন অজ্ঞরা তাদেরকে সম্বোধন করে তখন শান্তিসূচক কথা বলে।'-সূরাহ ফুরকান,অধ্যায়-২৫,আয়াত-৬৩
‘আর আমি তাদের বিভক্ত করেছি দুনিয়ায় বিভিন্ন সম্প্রদায়ে, যাদের কিছু ঠিক পথের অনুসারী আর কিছু এমন নয়।
আর আমি তাদের ভালো-মন্দ দিয়ে পরীক্ষা করছি, যেনো তারা ফিরে আসে।’
‘আর আমার সৃষ্টিতে এমন এক দল আছে যারা সঠিক পথ দেখায় এবং ন্যায় বিচার করে।’
‘তাদেরকে সৎ পথে ডাকলে তারা কিছুই শুনবে না। এবং দেখবেন যে, আপনার দিকে চেয়ে আছে অথচ তারা কিছুই দেখে না।’
‘ক্ষমাপরায়ণতা অবলম্বন করুণ, সৎ কাজের নির্দেশ দেন এবং অজ্ঞদের উপেক্ষা করুন।’
-সূরাহ রা'রাফ(অধ্যায়-৭), আয়াত-১৬৮,১৮১,১৯৮,১৯৯
‘বলুন, হে মানুষ! যদি তোমরা আমার ধর্ম নিয়ে সংশয়ী হও, তবে আমি তাদের এবাদত করি না যাদের এবাদত তোমরা করো আল্লাহকে ছেড়ে, বরং আমি এবাদত করি আল্লাহর, যিনি তোমাদের মৃত্যু দেন, আমি আদিষ্ট হয়েছি বিশ্বাসীদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য।’
-সুরাহ ইউনুস আয়াত ৯৯-১০৪
‘আর আপনি যখন তাদেরকে দেখেন,যারা আমার আয়াত(প্রত্যাদেশ)সমূহ নিয়ে অসার কথাবার্তায়(কুটতর্কে) লিপ্ত, তখন তাদের কাছ থেকে সরে যান যতোক্ষণ না তারা অন্য আলোচনায় প্রবৃত্ত হয়।আর যদি শয়তান আপনাকে ভুলিয়ে দেয়,তবে স্মরণে আসার পর অন্যায়কারীদের সাথে বসবেন না।’
‘আর যারা তাকওয়াধারী (আল্লাহ সচেতন) তারা মোটেও তাদের(অবিশ্বাসী/পথভ্রষ্ট্রদের) ব্যাপারে দায়বদ্ধ নয়, দায়িত্ব শুধু তাদেরকে(অবিশ্বাসী/পথভ্রষ্ট্রদেরকে) সতর্ক করে দেয়া-এতে হয়তো তারাও আল্লাহ সচেতন হতে পারে।’
-সূরাহ আন'আম(অধ্যায়-৬),আয়াত-৬৮,৬৯
'তোমরা যারা বিশ্বাস এনেছো! তোমরা (অন্যের ব্যাপারে) নেতিবাচক আন্দাজ-অনুমান করা থেকে বিরত থাকো;
নেতিবাচক ধারণা পোষন করা কোনো কোনো ক্ষেত্রে অপরাধ;(অন্যের ব্যক্তিগত গোপনীয় বিষয়ে) গোয়েন্দাগিরি করো না,
কারো অনুপস্থিতিতে পরনিন্দা (গিবত) করো না, তোমাদের কেউ কি মৃত ভাইয়ের মাংস খেতে পছন্দ করবে?
তোমরা বরং তা ঘৃণাই করবে; সবসময় আল্লাহের নির্দেশের ব্যাপারে সতর্ক থেকো (আল্লাহকে ভয় করো, আল্লাহ-সচেতন হও);
নিশ্চয় আল্লাহ অনুশোচনা গ্রহণকারী( তওবা কবুলকারী), পরম দয়ালু।' -সূরাহ হুজুরাত(অধ্যায়-৪৯),আয়াত-১২
'আল্লাহ অত্যাচারিত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কারো মন্দ কথার প্রচারণা পছন্দ করেন না। আল্লাহ সর্ব শ্রোতা ও সর্ব দ্রষ্টা।'
-সুরাহ নিসা আয়াত ১৪৮
'আর দেব-দেবীর (বহুত্ববাদী) পূজারীরা কেউ যদি তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে, তবে তাকে আশ্রয় দিবে, যাতে সে আল্লাহর বাণী শুনতে পায়, তারপর তাকে তার নিরাপদ স্থানে পৌছে দেবে। এটি এজন্যে যে তারা জ্ঞান রাখে না।'-সূরাহ তওবা (অধ্যায়-৯),আয়াত-৬
Comments
Post a Comment