হাদিসের সংশয়-৪ সত্যিকার ইসলাম বুঝতে কুর'আনের কাছে ফিরে যেতে হবে, আর তথাকথিত হাদিসের বিভ্রান্তি থেকে বেঁচে থাকতে হবে। -আইনুল বারী
৬৬.হাদিসের সংশয়-৪
সত্যিকার ইসলাম বুঝতে কুর'আনের কাছে ফিরে যেতে হবে, আর তথাকথিত হাদিসের বিভ্রান্তি
থেকে বেঁচে থাকতে
হবে।
-আইনুল বারী
......................................................................................................
কুর'আনের আয়াতের সাথে অন্য কোনো বাণী বা হাদিস
তুলনীয় নয়। এটি মেনে নিতে কোনো মুসলমান দ্বিধা করবেন না। এমনকি যদি পবিত্র কুর'আন বিরোধী হয় তবে সেসব তথাকথিত সহিহ হাদিসও নয়।
নবী মুহম্মদ(তাঁর প্রতি শান্তি)সৃষ্টিজগতের মহান সৃষ্টিকর্তা ও প্রতিপালকের কাছ থেকে যা কিছু প্রত্যাদেশ পেয়েছেন তার সবই পবিত্র কুর'আনেই স্থান পেয়েছে। পবিত্র কুর'আনের বাইরে কোনো প্রত্যাদেশ নেই, যা তার
সমতুল্য হতে পারে। প্রতিটি হাদিসই গভীর গবেষণার বিষয়, তার ঐতিহাসিক মূল্য নিরূপণের জন্য। নিশ্চয় কুর'আনের আয়াতগুলি াল্লাহর অনুগ্রহে নবীজীর নিজস্ব প্রজ্ঞামূলক ব্যাখ্যা পেয়েছিলো, তাঁর সম্প্রদায়ের কাছে সেদিন দিক-নির্দেশনামূলক আয়াতগুলির মর্মার্থ যথা সম্ভব পৌঁছে গিয়েছিলো ছিলো, কিন্তু সেসব কিছু আজ আমরা নির্ভুল জানি না। দূর্ভাগ্য, আজও তেমন উল্লেখযোগ্য বস্তুনিষ্ঠ গবেষণা হয়নি। ইমাম বুখারী,
বা ইমাম মুসলিম বা আবু দাউদ হাদিসের সংগ্রহ করেছিলেন
মাত্র,
কিন্তু তাঁরা সঠিক/বৈজ্ঞানিক/ঐতিহাসিক
গবেষণা পদ্ধতি অবলম্বন করতে সক্ষম হয়েছিলেন এটি বলা যাবে না। তাই নবীর কথা ও কাজ(হাদিস-সুন্নাহ)
হিসেবে অজস্র মিথ্যাচার, বিভ্রান্তি ও কুসংস্কার তাঁর মৃত্যু পরবর্তী সময়ে শুরু থেকেই মূল হাদিসের
সাথে মিলে-মিশে যায়। কালের বিবর্তনে অনেক শ্রুতি হাদিস গুজবে পরিণত হয় ও নৈতিক অবক্ষয়ে তা থেকে আজগুবি বিভ্রান্তি জন্ম নেয়। ঐসব হাদিসের বিভ্রান্তি
নিয়েই আজকের প্রচলিত ইসলাম যা বোধহীন, হৃদয়হীন, যন্ত্র-মন্ত্র-তন্ত্রে রূপান্তরিত হয়েছে।
এখানে তেমন কিছু ভয়ঙ্কর হাদিসের বিভ্রান্তি নিয়ে আলোচনা করা হলোঃ
১)
ব্যাভিচারের শাস্তিঃ
ব্যাভিচারের শাস্তি কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলা।
তথাকথিত হাদিসের রেফারেন্স থাকলেও কুর'আনে কোথাও এমন নির্দেশ নেই, এটি কুর'আনের সুস্পষ্ট আয়াতের বিরোধী। তালেবান সমাজে পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলা হচ্ছে, পাকিস্তান-আফগানিস্তানে 'অনার কিলিং' এর মাধ্যমে নিজ পরিবারও কন্যা-সন্তানকে
মেরে ফেলছে; ইসলামের নামে ভয়ঙ্করতার চর্চা হচ্ছে।
২)
ধর্মত্যাগের জন্যে, ধর্মের সমালোচনার জন্যে বা নবীকে কূটোক্তি করার অপরাধে কুর’আনে শাস্তির কোনো নির্দেশ
নেই, বরং সুস্পষ্টভাবে বেশ কিছু আয়াত বর্ণিত হয়েছে ধৈর্য ধারণের, ক্ষমার, ভদ্রভাবে উপেক্ষার, মন্দ কথার বিপরীতে ভালো কথার মাধ্যমে জবাব
দেয়ার। ইসলাম বিদ্বেষীরা যতো অশ্লীল, উদ্দেশ্যমূলক ঘৃণা ও মিথ্যা প্রচারই করুক
না কেনো তাদের হত্যা বা শাস্তির কোনো বিধান নেই, যদি না রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বা
রাষ্ট্রের শাসকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বা কর্মকান্ড হিসেবে প্রমাণিত হয়। আল্লাহ
বলছেন তাদের ধরার জন্য তিনিই যথেষ্ট। অথচ নবীর নামে কুৎসা রটানোর জন্য
নাস্তিক-মুরতাদ ঘোষণা করে হত্যা করা হচ্ছে। এই হত্যার সমর্থনে নানা জাতের হাদিসের
রেফারেন্স পাবেন,
সেগুলি সুস্পষ্টই পবিত্র কুর'আনের শিক্ষা বিরোধী। আমি বিস্তারিত
রেফারেন্সে যাবো না, কেননা এগুলি রেফারেন্স নিয়ে তেমন একটা মতানৈক্য নেই।
৩) শরিয়া
অভিযান কী জিনিস? জঙ্গিরা দাকাতি-দস্যুতা করতে ‘শরিয়া অভিযান’ কথাটি ব্যবহার করছে
বলে জানা যায়। নবীর যে ভু-রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, তার সাথে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির এসব অপরাধমূলক
কর্মকান্ডের কতোটুকু সাদৃশ রয়েছে তা সহজেই অনুমেয়। আমরা জানি আজ থেকে ১০/১২ বছর
আগে জে এম বি ব্রাক,
এন জিও ডাকাতি করেছিলো। আশুলিয়ায় আনসার আল
বাংলার সদস্যরা,
হুজি জে এম বির সদস্যরা ডাকাতি করছে। অথচ কুর'আনের শিক্ষা বলে এ হলো জঘন্য অপরাধ।
কিন্তু বভিন্ন হাদিস ও বিভিন্ন মাসালা, ফতোয়া থেকে সুদ গ্রহণকারী ব্যাংক ডাকাতি
করে বা কাফেরদের অর্থ-বিত্ত ছিনতাই করে ইসলামের কাজে লাগানো যাবে এমন ব্যাখ্যা
খুঁজে পাবেন আপনি।
৪)
সশস্ত্র জিহাদের সময় যৌন উত্তেজনা প্রশমনের বৈধতা দেয়ার মুতা বিয়ে নামে এক ধরণের সংক্ষিপ্ত বিয়ে
প্রথার আছে, যা কিনা অনুমোদন দেয় কিছু বিভ্রান্তিকর হাদিস । কিন্তু এ ধরণের বিয়ের কোনো
সমর্থন নেই কুর'আনের পাতায়, বরং ইসলামের শিক্ষা বলে এ ধরণের
বিয়ে যৌন অনাচার, এক জঘন্য অপরাধ। তাহলে কেনো আমরা কুর'আনের সত্যের উপর এই মিথ্যা-অন্যায়কে মেনে নিবো?
৬)ইসলামে
যুদ্ধের বৈধতা শুধু রাষ্ট্রে প্রতিরক্ষার জন্য, প্রতিরোধমূলক ও ন্যায়যুদ্ধের। আমার জ্ঞানমতে কুর'আনে এমন কোনো আয়াত নাযিল হয়নি যা ইসলাম
প্রচারের জন্য আক্রমণকারী অনৈতিক যুদ্ধের নির্দেশ দেয়। কিন্তু তথাকথিত কিছু হাদিস
পাওয়া যাবে যার ফলে ইসলামিক রাষ্ট্রের সাম্রাজ্য বিস্তারের জন্য আক্রমণকারী
যুদ্ধের বৈধতা দেয়া হয়ছে,
ব্লগার নিলয়কে যারা হত্যা করলো তারা
নিজেদের আল-কায়দার ভারতীয় উপমহাদেশে শাখা হিসেবে 'ভারত-বিজয়' (গাযওয়া-এ-হিন্দ) প্রকল্প নিয়ে এগুচ্ছে।
তাদের একডেমিক উৎস হলো কয়েকটি তথাকথিত হাদিস। মধ্য প্রাচ্যের সিরিয়া, ইরাক ইত্যাদি দেশে খেলাফত রাজ্য প্রতিষ্ঠা
ও বিস্তারের যে তান্ডব চলছে তার পেছনেও কালো পতাকাধারী বাহিনীর আগমন সম্পর্কে
কয়েকটি তথাকথিত হাদিসের উল্লেখ করা যায়। কিন্তু পবিত্র কুর'আনে এমন ধরণের যুদ্ধ জয়ের বার্তা সম্বলিত
পবিত্র আয়াতের কোনো রেফারেন্স নেই।
৬)ইসলামে
যুদ্ধের বৈধতা শুধু রাষ্ট্রে প্রতিরক্ষার জন্য, প্রতিরোধমূলক। আমার জ্ঞানমতে পবিত্র কুর'আনে এমন কোনো আয়াত নাযিল হয়নি যা ইসলাম
প্রচারের জন্য আক্রমণকারী অনৈতিক যুদ্ধের নির্দেশ দেয়। কিন্তু তথাকথিত কিছু হাদিস
পাওয়া যাবে যার ফলে ইসলামিক রাষ্ট্রের সাম্রাজ্য বিস্তারের জন্য আক্রমণকারী
যুদ্ধের বৈধতা দেয়া হয়ছে,
ব্লগার নিলয়কে যারা হত্যা করলো তারা
নিজেদের আল-কায়দার ভারতীয় উপমহাদেশে শাখা হিসেবে 'ভারত-বিজয়' (গাজা-এ-হিন্দ) প্রকল্প নিয়ে এগুচ্ছে।
তাদের একডেমিক উৎস হলো কয়েকটি তথাকথিত হাদিস।মধ্য প্রাচ্যের সিরিয়া, ইরাক ইত্যাদি দেশে খেলাফত রাজ্য প্রতিষ্ঠা
ও বিস্তারের যে তান্ডব চলছে তার পেছনেও কালো পতাকাধারী বাহিনীর আগমন সম্পর্কে
কয়েকটি তথাকথিত হাদিসের উল্লেখ করা যায়। কিন্তু পবিত্র কুর'আনে এমন ধরণের যুদ্ধ জয়ের বার্তা সম্বলিত
পবিত্র আয়াতের কোনো রেফারেন্স নেই।
৭)
অবিশ্বাসী মাত্রই কাফের এবং জোর করে ধর্মান্তরিত করা বৈধ এমন নির্দেশ পবিত্র কুর'আনে নেই। কিন্তু পবিত্র কুর'আনের কয়েকটি আয়াত আউট-কন্টেক্সট ও
অপব্যাখ্যা করে এবং কিছু তথাকথিত বিভ্রান্তিকর হাদিস দিয়ে এমন অত্যাচারকে কোনো
কোনো জংগী গ্রুপ বৈধতা দিয়েছে। যদিও পবিত্র কুর'আনের 'কাফের' কথাটির অর্থ ভিন্ন, এর অর্থ 'অকৃতজ্ঞ', তাই শয়তান আল্লাহর প্রতি অবিশ্বাসী না
হয়েও অকৃতজ্ঞতার কারণে কাফের ও বিতাড়িত হয়েছে।
8)
'তাকিয়া' কথাটির এক অর্থ এটি বিশেষ পরিস্থিতির জন্য
অনুমোদিত 'হোয়াইট লাই' বা যে মিথ্যা ইসলাম ধর্মের প্রয়োজনে বলা
যায়,
জায়েজ (বৈধ)। কিন্তু পবিত্র কুর'আনে সব সময় সত্যবাদী হয়ে চলার নির্দেশ
রয়েছে। জীবন বাঁচানোর জন্য মিথ্যা বলা যায় কিনা সে সম্পর্কেও কোনো সুস্পষ্ট আয়াত
নেই(আমার জানা নেই)। কিন্তু মিথ্যা বলা কোন কোন ক্ষেত্রে যায় সে সম্পর্কে বিভিন্ন
তথাকথিত হাদিসের নানা ব্যাখ্যা আছে। এই ব্যাখ্যাগুলি সাধারণভাবে বিভ্রান্তিকর, ও ফিতনা সৃষ্টিকারী।
...
এ রকম অজস্র হাদিস আছে যা সমাজে ব্যাপক
প্রচলিত,
এবং বেশির ভাগই বিশ্বাস করেন, শুধু বিশ্বাস নয়, পবিত্র কুর'আনের আয়াতের সমতুল্য বলে মনে করেন। যার
ফলে জন্ম নিয়েছে বর্বরতা,
বিচারবিযুক্তবাদ, ও ইসলামের নামে ইসলাম বিরোধী নানা ফিতনা ও
ফতোয়া।
অথচ এই
হাদিসগুলি অজ্ঞাত সারে আমাদের বোধ সম্পন্ন সৃষ্টির সেরা মানবিক মানুষ নয়, থেকে সৃষ্টির নিকৃষ্ট বোধহীন মানুষরূপী
দানবে পরিণত করছে। মহান আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন, শয়তানের কু-মন্ত্রণা থেকে রক্ষা করুন, পবিত্র করুন ও সত্য অনুধাবনের তৌফিক দান
করুন।
স্ত, কিন্তু বাইরের চেয়ে ভেতরের সমস্যাটিই অনেক
গভীর ও বিপজ্জনক।
আমি
এখানে কয়েকটি ফিতনা উল্লেখ করলাম। মহান সৃষ্টিকর্তা চাইলে পরবর্তীতে এর কলেবর
বৃদ্ধি করে একাডেমিক লেখার ইচ্ছা রইলোঃ
১)
ব্যাভিচারের শাস্তি হিসেবে পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলা। এটি পবিত্র কুর'আনের সুস্পষ্ট আয়াতের বিরোধী, কিন্তু আপনি হাদিসের মধ্যে এর রেফারেন্স
পাবেন। তালেবান সমাজে পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলা হচ্ছে, পাকিস্তান-আফগানিস্তানে 'অনার কিলিং' এর মাধ্যমে নিজ পরিবারও কন্যা-সন্তানকে মেরে ফেলছে।
২) মহান
আল্লাহ,
তাঁর রাসুল, পবিত্র কুর'আন ও ইসলাম নিয়ে কটাক্ষ করার জন্য শাস্তির
কোনো নির্দেশ দেন নি,
বরং পবিত্র কুর'আনে সুস্পষ্টভাবে বেশ কিছু আয়াত বর্ণিত
হয়েছে ধৈর্য ধারণের,
ক্ষমার, উপেক্ষার, মন্দ কথার বিপরীতে ভালো কথায় জবাব দেয়ার।
ইসলাম বিরোধী চক্র যতো অশ্লীল, উদ্দেশ্যমূলক ঘৃণা ও মিথ্যা প্রচারই করুক
না কেনো শুধু অপপ্রচারের অপরাধে তাদের হত্যা বা শাস্তির কোনো বিধান নেই।বরং মহান
আল্লাহ বলছেন তাদের ধরার জন্য
তিনিই যথেষ্ট। কিন্তু কুৎসা রটানোর জন্য নাস্তিক-মুরতাদ ঘোষণা করে
হত্যা করা হচ্ছে। আপনি এই হত্যার সমর্থনে নানা জাতের হাদিসের রেফারেন্স পাবেন, সেগুলি সুস্পষ্টই পবিত্র কুর'আনের শিক্ষা বিরোধী।
৩) আমরা
জানি আজ থেকে ১০/১২ বছর আগে জে এম বি ব্রাক, এন জিও ডাকাতি করেছিলো। আশুলিয়ায় আনসার আল
বাংলার সদস্যরা,
হুজি জে এম বির সদস্যরা ডাকাতি করছে।
পবিত্র কুর'আনের শিক্ষা বলে এ হলো জঘন্য অপরাধ।
কিন্তু বিভিন্ন হাদিস ও বিভিন্ন মাসালা থেকে সুদ গ্রহণকারী ব্যাংক ডাকাতি করে
ইসলামের কাজে লাগানো যাবে এমন ব্যাখ্যা খুঁজে পাবেন আপনি।
৪)
সশস্ত্র জিহাদের সময় যৌন উত্তেজনা প্রশমনের বৈধতা দেয়ার এক ধরণের সংক্ষিপিত বিয়ে
প্রথার আছে যা কিনা কিছু বিভ্রান্তিকর হাদিস থেকে। কিন্তু এ ধরণের বিয়ের কোনো
সমর্থন নেই পবিত্র কুর'আনে, বরং ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা বলে এ ধরণের
বিয়ে এক জঘন্য অপরাধ। কিন্তু কিছু তথাকথিত হাদিস খুঁজে পাবেন।
৫) ইসলামে
যুদ্ধের বৈধতা শুধু রাষ্ট্রে প্রতিরক্ষার জন্য, প্রতিরোধমূলক, ন্যায়যুদ্ধের। আমার জ্ঞানমতে পবিত্র কুর'আনে এমন কোনো আয়াত নাযিল হয়নি যা ইসলাম
প্রচারের জন্য আক্রমণকারী অনৈতিক
যুদ্ধের নির্দেশ দেয়। কিন্তু তথাকথিত কিছু হাদিস পাওয়া যাবে যার ফলে ইসলামিক
রাষ্ট্রের সাম্রাজ্য বিস্তারের জন্য আক্রমণকারী যুদ্ধের বৈধতা দেয়া হয়ছে। বাংলাদেশে ব্লগারদেরকে যারা হত্যা করলো তারা
নিজেদের আল-কায়দার ভারতীয় উপমহাদেশে শাখা হিসেবে 'ভারত-বিজয়' (গাজা-এ-হিন্দ) প্রকল্প নিয়ে এগুচ্ছে।
তাদের একডেমিক উৎস হলো কয়েকটি তথাকথিত হাদিস। সিরিয়া, ইরাক, লিবিয়া, নাইজেরিয়া ইত্যাদি দেশে ও পৃথিবী জুড়ে তথাকথিত আই এসের নামে খেলাফত রাজ্য প্রতিষ্ঠা ও বিস্তারের যে তান্ডব চলে আসছে, তার পেছনেও কালো পতাকাধারী বাহিনীর আগমন সম্পর্কে
কয়েকটি হাদিসের উল্লেখ করা হয়। অথচ কুর'আনে এর সমর্থনে কোনো রেফারেন্স নেই।
৬)
অবিশ্বাসী মাত্রই কাফের এবং জোর করে ধর্মান্তরিত করা বৈধ, এমন নির্দেশ পবিত্র কুর'আনে নেই। অথচ পবিত্র কুর'আনের কয়েকটি আয়াত আউট-কন্টেক্সট ও
অপব্যাখ্যা করে এবং কিছু তথাকথিত বিভ্রান্তিকর হাদিস দিয়ে এমন অত্যাচারকে বৈধতা দেয়া
হয়েছে বলে জঙ্গি গোষ্ঠী ও ইসলাম বিদ্বেষী সমালোচকরা মনে করেন। আত্মোপলব্ধি ছাড়া জোর
করে ধর্মে বিশ্বাস আসবে কীভাবে? এতে মোনাফেকের সংখ্যা কেবল বাড়বে নাকি? এজন্যে কুর’আনে
বলা হয়েছে দ্বীনের ব্যাপারে জোরাজুরি না করতে।
৭)
'তাকিয়া' কথাটির এক অর্থ এটি বিশেষ পরিস্থিতির জন্য
অনুমোদিত 'হোয়াইট লাই' বা যে মিথ্যা কথা বলার অনুমোদন। সে
সম্পর্কে বিভিন্ন তথাকথিত হাদিসের নানা রেফারেন্স আছে, অস্বীকার করা যাবে না । তাকিয়ার
নামে মানুষ যদি যথেচ্ছা ম্মিথ্যা বলায় অভ্যস্ত হয়ে উঠে, তখন নৈতিকতার কী অবস্থা
হবে ভাবতেও ভয় লাগে। অথচ পবিত্র কুর'আনে সব সময় সত্যবাদী হয়ে চলার নির্দেশ
রয়েছে। একটি আয়াতও নেই যেখানে ইসলাম প্রচারের ও প্রতিষ্ঠার জন্যে মিথ্যা কথা বলার
অনুমদন আল্লাহ দিয়েছে। এমনকি জীবন বাঁচানোর জন্য মিথ্যা বলা যায় কিনা সে সম্পর্কেও
কোনো সুস্পষ্ট আয়াত নেই(আমার জানা নেই)। কুর’আনে আল্লাহ জানিয়েছেন, নবীরা প্রবঞ্চক
হতে পারেন না। অর্থাৎ সকল নবী-রাসুলকে আল্লাহই প্রবঞ্চনা ও বিভ্রান্তি থেকে রক্ষা
করেন।
....
এ রকম অজস্র হাদিস আছে যা সমাজে ব্যাপক
প্রচলিত,
এবং বেশির ভাগই বিশ্বাস করেন, শুধু বিশ্বাস নয়, পবিত্র কুর'আনের আয়াতের সমতুল্য বলে মনে করেন। যার
ফলে জন্ম নিয়েছে বিদ্বেষ, বর্বরতা, বিচারবিযুক্তবাদ, ও ইসলামের নামে ইসলাম বিরোধী নানা ফতোয়া ও
ফিতনা।
ইসলাম
বিরোধী, মানবতা বিরোধী এই ভয়ঙ্কর হাদিসগুলি ক্রমেই ও অজ্ঞাতসারে আমাদের আত্মাকে
কুলষিত করবে, বোধসম্পন্ন সৃষ্টির সেরা মানবিক মানুষ সৃষ্টি না করে সৃষ্টির নিকৃষ্ট
বোধহীন মানুষরূপী দানবে পরিণত করবে। তাই আজ ফিরে যেতে হবে কুর'আনের শিক্ষায়।
মহান আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন, শয়তানের কু-মন্ত্রণা থেকে রক্ষা করুন, পবিত্র করুন ও সত্য অনুধাবনের তৌফিক দান
করুন।
Comments
Post a Comment