অজ্ঞতার কারণে অনৈক্য বনাম সংকীর্ণ মনোবৃত্তির কারণে অনৈক্য-আইনুল
৩. অজ্ঞতার
কারণে অনৈক্য বনাম সংকীর্ণ মনোবৃত্তির কারণে অনৈক্য
-আইনুল বারী
--- --- --- ---
‘মানব জাতি একই সম্প্রদায় ছিলো; পরবর্তীতে
আল্লাহ সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী হিসেবে নবীদের পাঠালেন, তাদের
সাথে দিলেন সত্যজ্ঞানের গ্রন্থ, যেনো মানুষের মাঝে
মতভেদের বিষয়গুলির মীমাংসা করতে পারে; অথচ সুস্পষ্ট
সাক্ষ্য-প্রমাণ সত্ত্বেও যাদের কাছে গ্রন্থ দেয়া হয়েছিলো তারা পারষ্পরিক
ঘৃণা-বিদ্বেষের কারণে এ নিয়ে মতভেদে লিপ্ত হলো; আর আল্লাহ তাঁর
অনুগ্রহে বিশ্বাসীদেরকে তাদের মতবিরোধের বিষয়ে সত্যপথ দেখালেন; আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন সরলপথে পরিচালিত করেন।‘-সূরাহ বাক্বারাহ(অধ্যায়-২),আয়াত-২১৩
একদা
মানব জাতি এক সম্প্রদায় ছিলো, তারপর এক সময় লোকেদের মাঝে মতভেদ ও
বিশৃংখলা শুরু হলো, কেননা তাদের কাছে সঠিক জ্ঞান ছিলো না আর জানা ছিলো না কী হবে সঠিক
বিচারিক মানদন্ড । লোকেদের মাঝে বিভেদের মীমাংসা করতে তথা ঐক্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠা
করতে নবীরা যুগে যুগে সত্যজ্ঞানের ঐশী গ্রন্থ নিয়ে এলেন ।
কিন্তু সুস্পষ্ট নিদর্শন ও স্বাক্ষ্য-প্রমাণ আনা সত্ত্বেও
সম্প্রদায়ের অনেকেই পরষ্পর ঘৃণা-বিদ্বেষ ও শত্রুতার কারণে মতভেদ ও বিশৃংখলায় লিপ্ত
রইলো; এ ধরণের লোকেরাই সত্য অস্বীকারকারী, অকৃতজ্ঞ, অপরাধী।
আর যারা বিশ্বাসী ছিলেন, নবীদের অনুসরণ করে সত্য গ্রহণ করেছিলো, আল্লাহ
তাদেরকে মতবিরোধের বিষয়ে সরলপথ দেখালেন।
এই আয়াতটির একটি বিষয় তাৎপর্যপূর্ণ, মানুষের মাঝে অজ্ঞতার কারণে
মতভেদ সৃষ্টি হলে অতঃপর জ্ঞান আসার পর সে মতভেদ কিন্তু মেটেনি। এর কারণ ছিলো
সংকীর্ণ স্বার্থবাদী ঘৃণা-বিদ্বেষ। অজ্ঞতার কারণে যে অনৈক্য তারচেয়ে অনেক বড় অপরাধ
জ্ঞান আসার পর যে অনৈক্য ও শত্রুতার সৃষ্টি হয় স্বার্থবাদী কু-প্রবৃত্তির
প্ররোচনায়।
Comments
Post a Comment