রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর মায়ানমার সরকারের নির্যাতন-নিপীড়ন, ২০১৭ঃ আমরা যেনো সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষে এ দেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ক্ষতি না করি
৫৬.রোহিঙ্গা
জনগোষ্ঠীর উপর মায়ানমার সরকারের নির্যাতন-নিপীড়ন,
২০১৭ঃ আমরা
যেনো সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষে এ দেশের
বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ক্ষতি না করি ।
-আইনুল বারী
-- -- -- --
রোহিঙ্গা ইস্যুকে
কেন্দ্র করে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের প্রতি সহানুভূতি যতো প্রগাড় হচ্ছে পাশাপাশি
কিছু মানুষের মনে সাম্প্রদায়িক ঘৃণা-বিদ্বেষও তীব্র হচ্ছে। তারা এ দেশের বৌদ্ধ
সম্প্রদায়ের মানুষের উপর শারীরিক আক্রমণ ও মানসিক লাঞ্ছনার জন্য নানা গুজব ছড়িয়ে
অন্যদের প্ররোচিত করতে থাকবে। কিন্তু এই ফাঁদে পা দেয়া মানেই নৈতিকতার পরাজয়। আজ
বাংলাদেশের মানুষ মানবতার যে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে, তখন তা বিশ্বের কাছে হেয় প্রতিপন্ন হবে। আমরা ভালোবাসা ও সততার শক্তিতে
আরেকটি মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারি,
তা হলোঃ
সাম্প্রদায়িক ঘৃণা-বিদ্বেষের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে ও এ দেশের শংকিত বৌদ্ধ
সম্প্রদায়ের মানুষের প্রতি অবিচার না করে,
তারা যেনো
কোথাও সামান্যতম হয়রানির স্বীকার না হয়,
সে বিষয়ে
সতর্ক থেকে। তাদেরতো কোনো দোষ নেই।
আল্লাহ বলেছেনঃ
‘বিশ্বাসীগণ! যদি কোনো নীতিহীন(মন্দ)ব্যক্তি তোমাদের কাছে কোনো সংবাদ নিয়ে
আসে, তখন তোমরা পরীক্ষা করে দেখবে, যাতে অজ্ঞতাবশত তোমরা কোনো সম্প্রদায়ের ক্ষতি করতে প্রবৃত্ত না হও, আর পরে নিজেদের কৃতকর্মের জন্যে না অনুতপ্ত হও।'-সূরাহ হুযুরাত(অধ্যায়-৪৯),আয়াত-৬
‘ওহে বিশ্বাসীগণ! আল্লাহর জন্য অবিচল থেকো ন্যায় সাক্ষী রূপে,আর অন্যের(কোনো সম্প্রদায়ের) ঘৃণার কারণে নিজেকে ন্যায়বিচার থেকে বিরত রেখো
না।সুবিচার করোঃএটাই আল্লাহ সচেতনতার (তাকওয়া)অধিক নিকটবর্তী, আল্লাহ সচেতন হও(ধার্মিক হও)।তোমরা যা করো নিশ্চয় আল্লাহ সে সম্পর্কে
জানেন।’- সূরাহ মা'ইদা(অধ্যায়-৫),আয়াত-৮
‘আর যখন আমি তোমাদের কাছ থেকে অংগীকার নিয়েছিলাম যে, তোমরা নিজেদের মধ্যে রক্তপাত করো না,
আর তোমাদের
বাসভূমি থেকে নিজেদের লোকদেরকে বের করে দিয়ো না;
তখন তোমরা
তা স্বীকার করেছিলে এবং তোমরা তার সাক্ষ্য দিয়েছিলে।’-সূরাহ বাক্বারাহ, অধ্যায়-২,
আয়াত-৮৪
Comments
Post a Comment