অপব্যাখ্যাত আয়াত ৬৪ঃ১৪, শুধু বিশ্বাসী স্বামীদের স্ত্রীরাই সীমালঙ্ঘনকারী,অপরাধী? আর বিশ্বাসী স্ত্রীদের স্বামীগণ? -আইনুল
৩২. অপব্যাখ্যাত
আয়াত ৬৪ঃ১৪, শুধু বিশ্বাসী
স্বামীদের স্ত্রীরাই সীমালঙ্ঘনকারী,অপরাধী?
আর বিশ্বাসী স্ত্রীদের স্বামীগণ?
আর বিশ্বাসী স্ত্রীদের স্বামীগণ?
-আইনুল বারী
---- --- --
'হে বিশ্বাসীগণ, তোমাদের কারো কারো জীবনসঙ্গী('আযওয়াজিকুম') ও
সন্তান-সন্ততি তোমাদের বিরুদ্ধে/সীমালংঘনকারী। কাজেই তাদের ব্যাপারে সতর্ক
থাকো।আর যদি মার্জনা করো, উপেক্ষা করো, ও ক্ষমা করো, তবে নিশ্চয়
আল্লাহ ক্ষমাশীল,করুনাময়।'-সূরাহ তাঘাবুন (অধ্যায়-৬৪),আয়াত-১৪
এই আয়াতের বাংলা
অনুবাদের ক্ষেত্রে অনেক অনুবাদক 'জীবনসঙ্গী' কথাটির স্থানে চোখ
বুঁজে লিখে ফেলেন স্ত্রীবাচক শব্দ 'স্ত্রীগণ' ।
'হে বিশ্বাসীগণ, তোমাদের কারো কারো স্ত্রীগণ ও সন্তান-সন্ততি
তোমাদের শত্রু...।'
যেনো
স্বামীগণ/পুরুষগণ সবাই পবিত্র। এ ধরণের অন্যান্য আয়াতের ক্ষেত্রেও না বুঝে এমনই
অনেক বিচ্যুতি ঘটছে। একে পুরুষতান্ত্রিক বিচ্যুতি বলাই শ্রেয়। এমন এক তরফা
অনুবাদের প্রশ্রয়েই অনেকে প্রচার করতে চান জাহান্নাম পূর্ণ হবে অধিকাংশই নারীদের
দিয়ে। নারীরাই যতো নষ্টের মূল ইত্যাদি।
বিভিন্ন
তথাকথিত হাদিসেরর রেফারেন্সে (যদিও পবিত্র কুর'আনের শিক্ষা বিরোধী
সে সমস্ত হাদিস নবীজীর কথা বা কাজ নয় বলেই দৃঢ়ভাব বিশ্বাস করি) বিভিন্ন ভুল
ব্যাখ্যা দাঁড় করানো হচ্ছে। যা হোক, আমি তাই ঐ
নির্দিষ্ট শব্দটি খুঁজালাম ও তার অর্থের পরিধিটাও লক্ষ্য করলাম।
যে
শব্দটির অনুবাদ তাঁরা করেছেন' 'তোমাদের স্ত্রীগণ' তার আরবী কথাটি
(পবিত্র কুর'আনের আয়াতে যা আছে )ঃ 'আযওয়াজিকুম' । এখানে আরবী শব্দ
দেয়া যাচ্ছে না বলে উহ্য রাখছি। 'আযওয়াজিকুম'- এর অর্থ 'তোমাদের সঙ্গীগণ' ( 'সঙ্গী' মানে জীবন সঙ্গী, যাদের সাথে
দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছো)- এখানে কোনো নারীবাচক শব্দ নেই। মূল শব্দ 'যে- ওয়াও- জিম' সমন্বয়ে 'যাওয়াজ' যেটি লিংগ নিরপেক্ষ
যার অর্থ স্ত্রী বা স্ত্রীগণ নয়। 'যাওয়াজ' সাথে শব্দাংশ যোগ
হয়ে লিংগবাচক অর্থ প্রকাশ করে।
অতএব
কোনোক্রমেই এক তরফা স্ত্রীগণ অনুবাদ করা শ্রেয় নয়। যৌক্তিক হবে (পরষ্পর অর্থে)
জীবন সঙ্গী গণ। সামান্য পরিবর্তন, অথচ কতো বড় বিভ্রান্তি !
Comments
Post a Comment