পিপীলিকার ভাষা আছে? -আইনুল

৪৯.পিঁপড়ের ভাষা আছে? 
-আইনুল বারী

যতোক্ষণ না তারা পিঁপড়েরউপত্যকায় পৌঁছুলো,আর তখন এক পিঁপড়ের বলে উঠলোঃ ওহে পিঁপড়েরা! তোমরা তোমাদের ঘরে ঢোকো,পাছে সুলায়মান তার বাহিনী অজ্ঞাতসারে তোমাদেরকে না পিষ্ট করে ফেলে।
-
সূরাহ আন-নামল(অধ্যায়)-২৭) আয়াত- ১৮

খটকা লাগছেপিঁপড়েরা কীভাবে কথা বলবে? 

পিপঁড়ে্রেদের  নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ হতে পারে, কথা হতে পারে,  এটি এখন কল্পকথা নয়,  বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারও বটে। তবে তাদের ভাষা ভিন্ন প্রকৃতির, যা তাদের নিজেদের মধ্যে জীবন যাপনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় গভীর যোগাযোগের জন্য যথেষ্টই। প্রাথমিক ভাবে তারা ভাষাগত যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করে ফেরোমোন(Pheromones)নামক এক ধরণের রাসায়নিক পদার্থ। যখন কোনো পিঁপড়া আহত হয় তখন সে একটি সতর্ক রাসায়নিক ফেরোমোন বার্তা ছড়িয়ে দেয় যেনো কাছাকাছি অন্যরা নিরাপদ আশ্রয় নেয়, কিছু ফেরোমোন বার্তা তারা তৈরি করে শ্ত্রুকে ধোঁকা দিতে। একে বলে প্রোপাগান্ডা-ফেরোমোন বা গুজব ছড়ানোর ফেরোমোন এভাবে খাদ্যের উৎসের খোঁজ, পথ চেনার, আবাস স্থলের ঠিকানা জানার, খাদ্য সংকটের সতর্ক বার্তা পৌঁছে দেয়ার, এমন আছে নানা ধরণের বার্তা ভান্ডার। যোগাযোগের জন্য তাদের আরো আছে বিশেষ বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন ঘ্রাণশক্তি বার্তা গ্রহণ, প্রেরণের স্মার্ট এন্টেনা ব্যস্থা

(পুরোনো লেখা।)

Comments

Popular posts from this blog

'শুন হে মানুষ ভাই, সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই।' : আমি মানুষ বনাম আমি মুসলমান-আইনুল বারী

অপব্যাখ্যাত আয়াত ৪ঃ৩৪- স্ত্রীকে প্রহার করা কি ইসলামে অনুমোদিত?-আইনুল বারী

সত্য অনুসন্ধানী ধার্মিকের চোখে নাস্তিক্যবাদী সংশয় ঘৃণার বস্তু নয়, কেননা জ্ঞানের সংশয়ে পাপ নেই, জ্ঞান চর্চায় ঘৃণা বিদ্বেষের প্রয়োজন নেই -আইনুল বারী