Posts

Showing posts from September, 2017

ক্ষমতার তত্ত্ব-তালাশঃ নাস্তিক্যবাদ বনাম আস্তিক্যবাদ--আইনুল বারী

৮৪. ক্ষমতার তত্ত্ব-তালাশঃ নাস্তিক্যবাদ বনাম আস্তিক্যবাদ - -আইনুল বারী --- --- --- ---- নাস্তিক্যবাদ  ক্ষমতার অণু-বিশ্লেষণ করে বস্তুবাদী জ্ঞানতাত্ত্বিক ল্যাবরেটরিতে, মানুষের জাগতিক ক্ষমতা-সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো রকম ঐশ্বরিক হস্তক্ষেপ ছাড়া।                                  ক্ষমতা তাই, মানুষের সামাজিক সম্পর্কের ফসল মাত্র।  ক্ষমতা মানুষের সৃষ্টি, এবং এর দায়-দায়িত্ব কেবল মানুষের উপরই বর্তায়। মার্ক্সবাদী দৃষ্টিকোণে ‘ক্ষমতার’ শ্রেণী-চরিত্র আছে। আদিম সাম্যবাদী যুগের যৌথ স্বার্থের সামাজিক সম্পর্ক ভেংগে যখন থেকে সম্পদের উপর ব্যক্তি মালিকানার উদ্ভব ঘটলো, ঐতিহাসিক বিকাশের পথ ধরে, আর শ্রেণী বিভক্ত সমাজে মানুষের অর্থনৈতিক সম্পর্কের ধরণও পাল্টাতে শুরু করলো; ক্ষমতারও চারিত্রিক রূপান্তর ঘটতে থাকলো । মার্কসীয় মতবাদ অনুসারে শ্রেণীগত ক্ষমতা ব্যক্তিগত ক্ষমতার চেয়ে ক্ষমতাবান, ব্যক্তি মানুষ ব্যক্তিগতভাবে নিজের ক্ষমতাকে স্বাধীনভাব...

মন মানব অস্তিত্বের এক রহস্যময় উপস্থিতি -আইনুল বারী

৮৩.মন মানব অস্তিত্বের এক রহস্যময় উপস্থিতি -আইনুল বারী --   --          ---- মন মানব অস্তিত্বের এক রহস্যময় উপস্থিতি , যার সাথে জুড়ে আছে অন্তর্লীন elan vital ।   ব্যক্তি মানুষ যা পর্যবেক্ষণ করে ও বেশি ভাবিত হয় , বিশ্বজগত তাকেই মনোযোগের কেন্দ্রে নিয়ে আসে , তাকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে। এই গু রুত্বপূর্ণ করে তোলার মানে হলো , অন্য বিষয়গুলি দূরে সরে যাবে , আর মূল ভাবনাটি প্রয়োজনীয় হয়ে উঠবে। ব্যক্তি মানুষের কর্ম পরিচালিত হয় পর্যবেক্ষণ ও ভাবনার দ্বারা। পর্যবেক্ষণ ও ভাবনাগুলি চাহিদাপত্র , যার ভিত্তিতে তার চারপাশের জগতটা সাজতে থাকে। যদি মানুষ সুন্দর হয় , তবে চারপাশে র জগতের সব কিছু সুন্দর হয়ে উঠবে। যদি সে অসুন্দর হয় , সৃষ্টিজগতও অসুন্দর হয়ে উঠবে। অসুন্দর হচ্ছে তাই যা আমাদেরকে সৃষ্টিকর্তার ভালোবাসা থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। সুন্দর মানে হচ্ছে সত্য-সততা-ন্যায়বিচার-আত্মশুদ্ধি , সৃষ্টাকে চিনতে পারার ও কাছে আসার শক্তি। প্রত্যেক মানব-মনই বিশ্ব-মন , যেখানে প্রত্যেকে মহা-বিশ্বের কেন্দ্রে রয়েছে , কেউ প্রান্তে নেই। এমন অনুগ্রহই বুঝিয়ে দেয় , আমাদের সুন...

অপব্যাখ্যাত আয়াত ৫ঃ৮২-‘বিশ্বাসীদের প্রতি বিরোধিতায় মানুষের মাঝে ইহুদী ও মুশরিকরাই সবচেয়ে উগ্র’ –এশি আয়াতের মর্মার্থ কী সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ?--আইনুল বারী

৮২.অপব্যাখ্যাত আয়াত ৫ঃ৮২- ‘ বিশ্বাসীদের প্রতি বিরোধিতায় মানুষের মাঝে ইহুদী ও মুশরিকরাই সবচেয়ে উগ্র ’ – এ শি আয়াতের মর্মার্থ কী সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ? -আইনুল বারী --          ---                   ---       ---- ‘ নিশ্চয় তুমি দেখবে বিশ্বাসীদের প্রতি বিরোধিতায় মানুষের মাঝে ইহুদী ও মুশরিকরাই সবচেয়ে উগ্র ; আর যারা বলে ‘ আমরা খৃষ্টান ’ তাদেরকে বিশ্বাসীদের প্রতি অধিক বন্ধুত্বসুলভ দেখবে , কারণ এদের মাঝে ধর্মযাজক ও ভিক্ষু রয়েছে , যারা কোনো অহংকারী নয়। ’- সূরাহ মাইদাহ(অধ্যায়-৫) , আয়াত-৮২ - এই আয়াতটির অপব্যাখ্যা করা হয় এভাবে যে কুর'আনের আছে  ইহুদী ও মুশরিকরা মুসলমানদের চির শত্রু। এই ব্যাখ্যা  যেমন  সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মুসলমানদের  মনস্তত্ত্বে গেঁথে আছে, তেমনি কিছু ইসলাম বিদ্বেষীরাও তেমনি মনে করেন যে, কুর'আন মুসলমানদের সাম্প্রদায়িক হতে শিক্ষা দেয়। কিন্তু আয়াতটির মর্মার্থ কি তেমন নির্দেশ করে? এই আয়তে বাস্তবতার একটি ভবিষ্যৎবাণী করা হয়েছে মাত্র ,   কোথাও পালটা সাম্প্রদা...

২৪ঃ৩ আয়াতের মর্মার্থ কী সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ?-আইনুল বারী

৮১. ২৪ঃ৩ আয়াতের মর্মার্থ কী সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ? -আইনুল বারী -- ---- --- - --- ' যৌন অনাচারী পুরুষরা কেবল যৌন অনাচারী নারী অথবা মুশরিক নারীদেরকে বিয়ে করবে এবং যৌন অনাচারী নারী যৌন অনাচারী পুরুষ অথবা মুশরিক পুরুষদেরকে বিয়ে করবে ; আর বিশ্বাসীদের জন্যে এদেরকে বিয়ে করা নিষেধ। ' - সূরাহ নূর (অধ্যায়-২৪) , আয়াত-৩ আয়াতটির অর্থ আরেকটু পরিষ্কার করা প্রয়োজন , এক্ষেত্রে ইবন কাথিরের তাফসিরের সাহায্য নিচ্ছি। প্রথমত. যেহেতু একজন যৌন অনাচারী পুরুষ কেবল যৌন অনাচারী নারীর সাথেই (অভ্যাসগত বা ইচ্ছাগতভাবে) যৌন সংসর্গে লিপ্ত হয় , কাজেই তাদের সাথে বিশ্বাসীদের বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার নীতিগত সুযোগ নেই। অবৈধ যৌনাচার ইসলামে অপরাধ হিসেবে গণ্য, এটি নিষেধ।   দ্বিতীয়ত. মুশরিক নারী-পুরুষদের সাথে যৌন অনাচারী নারী-পুরুষদের বিয়ে হতে পারে কেননা মুশরিক সমাজে (আরব সমাজে সে কালের মুশরিকদের প্রসংগে)তেমন অবৈধ যৌন সম্পর্ক স্থাপন করাকে অন্যায় মনে করা হতো না। তাই বিশ্বাসীদের(মুসলমানদের) সাথে মুশরিক নারী-পুরুষদের বিয়েতে নীতিগত সুযোগ ছিলো না। কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠতে ...

বিশ্বাসের দর্শন বনাম অবিশ্বাসের দর্শন-২ ধর্মের সত্য গ্রহণে অবিশ্বাসীর মনস্তাত্তিক বাধা

৮০.বিশ্বাসের  দর্শন   বনাম অবিশ্বাসের দর্শন - ২ -ধর্মের সত্য গ্রহণে অবিশ্বাসীর মনস্তাত্তিক বাধা  --              ---              -- ধর্মের সত্য গ্রহণে অবিশ্বাসীর মনস্তাত্তিক বাধা কোথায়? যারা বিশ্বাসী তারা সৃষ্টিকূলের সৃষ্টিকর্তা ও প্রতিপালককে বিশ্বাস করেন। বিশ্বাস করেন নবী-রাসুলদের, তাঁদের প্রতি নাযিলকৃত ঐশীগ্রন্থে এবং পরকালের বিচার দিনে। সেজন্যেই তারা বিশ্বাসী। বিশ্বাসীদের এই বিশ্বাস সবার ক্ষেত্রে শুধু বই পড়ে অর্জন করা সম্ভব হয় না, জ্ঞান শুধু যুক্তির নিয়মে আসে না, স্বজ্ঞামূলক ও সাক্ষাৎ জ্ঞানও মানুষ লাভ করে। বিশ্বাসীরা তাই যখন নবীদের(তাঁদের প্রতি শান্তি) জীবনের ঘটনাগুলি থেকে জ্ঞান আরোহণের চেষ্টা করেন, যখন ঐশীগ্রন্থগুলির মর্মার্থ বুঝতে চেষ্টা করেন তখন বিশ্বাসের মনস্তত্ত্ব তাকে সাহায্য করে যথার্থ ব্যাখ্যাটিকে খুঁজে পেতে। অন্য দিকে অবিশ্বাসীরা বিশ্বাসীদের ধর্মীয় অধ্যাত্মবাদী ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান করেন। কেননা তারা বিশ্বাস করেন না তারা সৃষ্টিকূলের সৃষ্টিকর্তা ও প্রতিপালককে। বিশ্বাস করেন না...

ইসলাম ধর্মে বিবাহিত যুদ্ধবন্দী নারীর সাথে জোরপূর্বক যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা কি বৈধ? -আইনুল বারী

৭৯.ইসলাম ধর্মে বিবাহিত যুদ্ধবন্দী নারীর সাথে জোরপূর্বক যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা কি বৈধ ? -আইনুল বারী বিবাহিত যুদ্ধবন্দী নারী বা দাসীর সাথে জোরপূর্বক যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা যায় মর্মে এক ধরণের নেতিবাচক প্রচারণা চোখে পড়ে। যেখানে কুর ' আনের একটি আয়াত ( সূরাহ নিসা - ৪ঃ২৪ ) প্রায়শঃই উদ্ধৃত হয়ে থাকে।আয়াতটির সাথে কয়েকটি হাদিসকে জুড়ে দিয়ে প্রমাণের চেষ্টা করা হয় যে ইসলামে বিবাহিত যুদ্ধবন্দী নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অনুমোদন রয়েছে। তথকথিত হাদিস ের রেফারেন্স দিয়ে ইসলামকে অনুধাবন করা যাবে না বলেই মনে করি। তাই এখানে কুর ' আ্নের শিক্ষা বিরোধী ঐসমস্ত হাদিসসমূহ আলোচনায় না এনে শুধু উল্লেখিত আয়াতটি ( ৪ঃ২৪ ) পর্যালোচনা করে দেখবো , আয়াতটি কীভাবে অপব্যাখ্যাত হচ্ছে । ' আর সকল বিবাহিত নারীও তোমাদের জন্যে ( বিয়ে করা ) নিষিদ্ধ ; তবে তোমাদের ডান হাতের অধিকারভুক্তরা ( যুদ্ধবন্দী নারী ও দাস ) ছাড়া।তোমাদের জন্য এটি আল্লাহর নির্দেশ।তাদেরকে ছাড়া তোমাদের জন্যে অন্য সকল নারী বৈধ করা...